Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Justin Trudeau

‘কানাডার নির্বাচনে ভারত নাক গলাতে পারে’, দাবি জাস্টিন ট্রুডো সরকারের গুপ্তচর বাহিনীর রিপোর্টে

কানাডার সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল নিউজ়’ সে দেশের গুপ্তচর সংস্থা (সরকারি ভাষায়, ‘বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা’) ‘কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস’-এর একটি রিপোর্ট ফাঁস হয়েছে। সেই রিপোর্টে দাবি, কানাডার নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ‘অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ’ করতে পারে ভারত।

Foreign intelligence agency of Canada has accused India of potential interference in the election process.

নরেন্দ্র মোদী এবং জাস্টিন ট্রুডো। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:২৬
Share: Save:

আবার ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলল কানাডা। খলিস্তানি জঙ্গি খুনের পরে এ বার সে দেশের ভোটে হস্তক্ষেপের সম্ভাবনার ‘দায়ে’। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকারের অভিযোগ, তাদের ভোটে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করতে পারে নয়াদিল্লি।

কানাডার সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল নিউজ়’ সে দেশের গুপ্তচর সংস্থা (সরকারি ভাষায়, ‘বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা’) ‘কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস’-এর একটি রিপোর্ট ফাঁস হয়েছে। সেই রিপোর্টে দাবি, কানাডার নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ‘অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ’ করতে পারে ভারত। ওই সম্ভাবনা সত্যি হলে তা কানাডার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পক্ষে ক্ষতিকর হবে বলেও জানানো হয়েছে গোয়েন্দা রিপোর্টে। প্রসঙ্গত, এর আগে ‘কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস’-এর রিপোর্টে রাশিয়া এবং চিনের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ তোলা হয়েছিল।

এই ঘটনার জেরে পাঁচ মাস পরে আবার ভারত-কানাডা কূটনৈতিক সংঘাতের আবহ তৈরি হল বলেই মনে করা হচ্ছে। কানাডা সরকারের ওই সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতেই গত ১৮ সেপ্টেম্বর খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিংহ নিজ্জরের খুনের জন্য কানাডার পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ভারতকে নিশানা করেছিলেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো। গত জুন মাসে খলিস্তানপন্থী সংগঠন ‘খলিস্তান টাইগার ফোর্স’ (কেটিএফ)-এর প্রধান তথা কানাডার সারের গুরু নানক শিখ গুরুদ্বার সাহিবের প্রধান নিজ্জরকে গুরুদ্বার চত্বরের মধ্যেই গুলি করে খুন করা হয়। সেই ঘটনার তদন্তে ভারতের গুপ্তচর সংস্থার ভূমিকা ছিল বলে জানিয়ে ট্রুডো বলেছিলেন, ‘‘আমাদের তদন্তকারী সংস্থাগুলি এ বিষয়ে আরও বিশদে তদন্ত করছে।”

ট্রুডোর ওই মন্তব্যের পরেই নয়াদিল্লি-অটোয়া কূটনৈতিক সংঘাত তুঙ্গে উঠেছিল। প্রথমে কানাডার এক ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়। সে দেশের বিদেশমন্ত্রী মেলানি জোলি জানিয়েছিলেন, ওই ব্যক্তি ‘র’-এর কানাডার প্রধান হিসাবে দায়িত্ব সামলাতেন। ওই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় নরেন্দ্র মোদী সরকার কানাডার এক শীর্ষ কূটনীতিককে পাঁচ দিনের মধ্যে দিল্লি ছাড়ার নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি, নিজ্জর খুনের ঘটনায় দায় অস্বীকার করে ভারত। পরবর্তী পদক্ষেপে কানাডার নাগরিকদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ জারি করা হয়। যার প্রতিক্রিয়ায় ট্রুডো সরকার ভারতে অবস্থানকারী কানাডার নাগরিকদের উদ্দেশে ‘বিশেষ নিরাপত্তামূলক সতর্কতা’ জারি করে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE