বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ফাইল চিত্র
আফগানিস্তানে তালিবান সরকার গড়ার পরে মধ্য এবং পশ্চিম এশিয়ার কূটনৈতিক দৌত্যে জোর দিয়েছে দিল্লি। চেষ্টা চলছে কাবুলের ‘কাছের এবং দূরের’ প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে নিজেদের প্রভাব বাড়িয়ে তালিবান ও পাকিস্তানকে চাপে রাখার। সেই লক্ষ্যেই ইরানের সঙ্গে দৌত্যের পরে মধ্য এশিয়ার কাজাখস্তান, কিরগিস্তান ও আর্মেনিয়ায় তিন দিনের সফর করছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
ইরান, আফগানিস্তান এবং ভারতের যৌথ বন্দর প্রকল্প চাবাহার-এর বিষয়টি এই সফরে আলোচনার সময়ে তুলেছেন জয়শঙ্কর। জোর দিয়েছেন সংযোগ প্রকল্পের উপরে। আলোচনা হয়েছে কাবুলে পালা বদলের পরে আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়েও।
গত কাল, বুধবার আর্মেনিয়ায় পৌঁছে জয়শঙ্করের বক্তব্য, “ভারত এবং আর্মেনিয়া আন্তর্জাতিক উত্তর-দক্ষিণ করিডরের সদস্য। সংযোগের ক্ষেত্রে সমস্ত বাধা এই করিডর দূর করতে পারে। আমরা আলোচনা করলাম, ইরানে ভারতের তৈরি চাবাহার বন্দরকে কী ভাবে এই করিডরে কাজে লাগানো যায়, তা নিয়ে।” প্রসঙ্গত, তালিবান সরকার গড়ার পরে চাবাহার বন্দরের ভবিষ্যৎ কিছুটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সে ক্ষেত্রে ভারতের বিপুল অর্থের বিনিয়োগে তৈরি ওই বন্দরকে সচল রাখা যথেষ্ট জটিল হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিদেশমন্ত্রী অবশ্য বলেছেন, “আমরা ইরানে আরও কয়েকটি বন্দর গড়তে আগ্রহী। তা হলে সেখান থেকে ইরানের উত্তরেও সংযোগ করা যাবে। নতুন বাণিজ্যপথ খুলবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy