—ছবি এএফপি
ফ্রান্স অশান্তই। প্রস্তাবিত নয়া নিরাপত্তা আইন এবং প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁর বিরুদ্ধে গত কালও প্যারিস-সহ দেশের বেশ কয়েকটি শহরের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখালেন হাজার-হাজার মানুষ। গত শনিবারের মতো ফের রণক্ষেত্রের চেহারা নিল রাজধানী। দফায় দফায় চলল ইটবৃষ্টি, দোকান ভাঙচুর, জ্বলল গাড়ি। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জের পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটাল পুলিশ। দিনের শেষে দেশ জুড়ে গ্রেফতার অন্তত ৯৫ জন বিক্ষোভকারী। প্রশাসনের দাবি, আহত অন্তত ৬৭ জন পুলিশকর্মী।
খসড়া আইনের ২৪ নম্বর অনুচ্ছেদে পুলিশ অফিসারের ছবি প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা আনার কথা বলা হয়েছে। এই অনুচ্ছেদই বাতিলের দাবিতে চলছে বিক্ষোভ। তাঁদের দাবি, পুলিশকে শনাক্ত করা সম্ভব না-হলে পুলিশি নির্যাতনের ঘটনা আরও বাড়বে। পুলিশের জন্য আরও ভাল প্রশিক্ষণ কিংবা নীতি আনার বদলে এ ভাবে নাগরিক অধিকার ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে বলেও দাবি আন্দোলনকারীদের।
কাল প্যারিসের রাস্তায় নেমেছিলেন হাজার হাজার প্রতিবাদী। গোড়ায় প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণই ছিল। পুলিশ তাঁদের আটকাতে গেলে কালো পোশাক পরা এবং মুখ-ঢাকা এক দল বিক্ষোভকারী পুলিশের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। কিছু সংবাদমাধ্যমের অবশ্য দাবি, পুলিশই প্রথমে বলপ্রয়োগ করে।
তবে বিষয়টা শুধুই আইন ঘিরে প্রতিবাদ, নাকি মাকরঁই আসল নিশানায়— ভাবাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের। সমীক্ষা বলছে, এই মুহূর্তে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আছে মাত্র ৩৮ শতাংশ মানুষের সমর্থন। কূটনীতিকেরা আশঙ্কা করছেন, বছর তিনেক আগে যে-ডানপন্থীদের রুখতে দেশের বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল একমত হয়ে মাকরঁকে ক্ষমতায় এনেছিল, সেই ডানপন্থীরাই না ২০২২-এর ভোটে ক্ষমতাচ্যুত করে মাকরঁকে! প্রশাসন যদিও বলছে, গত সপ্তাহের থেকে প্রায় অর্ধেক কমেছে বিক্ষোভকারীর সংখ্যা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy