রাষ্ট্রপুঞ্জের বৈঠক। ছবি সংগৃহীত।
রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছে ভারত। এ বার নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের পক্ষে সওয়াল করল ফ্রান্স। ভারতের পাশাপাশি জার্মানি, ব্রাজিল ও জাপানের জন্যও সমর্থন জানিয়েছে ফ্রান্স। সম্প্রতি ব্রিটেনও ভারত-সহ এই চার রাষ্ট্রের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছিল।
রাষ্ট্রপুঞ্জে ফ্রান্সের স্থায়ী উপ-প্রতিনিধি নাতালি ব্রডহার্স্ট জানিয়েছেন, বর্তমান সময়ে নিরাপত্তা পরিষদে প্রতিনিধির সংখ্যা বাড়ানো হোক। যার মাধ্যমে এই পরিষদ আরও শক্তিশালী ও কার্যকর হয়। এ বিষয়ে ফ্রান্সের অবস্থান আগে যেমন ছিল, এখনও তা-ই রয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জে সাধারণ সভায় ‘নিরাপত্তা পরিষদে সদস্যপদ বৃদ্ধি ও ন্যায়সঙ্গত প্রতিনিধিত্ব নিয়ে প্রশ্ন’ সংক্রান্ত এক আলোচনা সভায় ভারত ও আরও তিনটি দেশের স্থায়ী প্রতিনিধিত্বের পক্ষে সওয়াল করেন ফরাসি প্রতিনিধি। তাঁর বক্তব্য, নিরাপত্তা পরিষদে যোগ দিতে আগ্রহী দেশ, যারা নিজেদের দায়িত্ব পালনে সক্ষম বলে মনে করা হয়, তাদের স্থায়ী উপস্থিতির জন্য পদক্ষেপ করা উচিত।
এর পাশাপাশি ব্রডহার্স্ট জানিয়েছেন, পরিষদের সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে ২৫ পর্যন্ত করা যেতে পারে। তাঁর কথায়, “স্থায়ী সদস্য হিসাবে ভারত, জার্মানি, ব্রাজিল, জাপানকে সমর্থন জানাচ্ছে ফ্রান্স। আফ্রিকার দেশগুলিরও শক্তিশালী উপস্থিতি দেখতে চাই। বাকি আসনে ভৌগোলিকঅবস্থান অনুযায়ী ন্যায়সঙ্গত প্রতিনিধিত্বকে মঞ্জুর করা হোক।”
ব্রডহার্স্টের মতে, আন্তর্জাতিক শান্তি ও সুরক্ষা বজায় রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হোক। বিষয়টি মাথায় রেখেই যত দ্রুত সম্ভব গণহিংসার ক্ষেত্রে স্থায়ী পাঁচ সদস্যের ভিটো প্রয়োগ আপাতত বন্ধ রাখা হোক।
এর আগে বৃহস্পতিবার ব্রিটেনের প্রতিনিধি বারবারা উডওয়ার্ডও সাধারণ সভার বিতর্কে জানিয়েছিলেন, স্থায়ী ও অস্থায়ী উভয় ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রপুঞ্জের সদস্যপদ বাড়ানো হোক। স্থায়ী সদস্য হিসেবে তিনিও ভারত, জার্মানি, জাপান ও ব্রাজিলের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। বারবারার মতে, সদস্য সম্প্রসারণের ফলে নিরাপত্তা পরিষদে সার্বিক ভাবে গোটা বিশ্বের প্রতিনিধিত্ব আরও শক্তিশালী হবে।
প্রসঙ্গত, নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী পাঁচ সদস্যের মধ্যে আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন, রাশিয়া ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধিত্বের পক্ষে আগেও সওয়াল করেছে। বর্তমানে নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসাবে দু’বছরের মেয়াদে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ভারত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy