গ্যাব্রিয়েল বরিচ।
‘যদি চিলি নব্যউদারবাদের আঁতুড়ঘর হয়ে থাকে, তবে তার সমাধিও হবে এখানেই।’ চিলির সদ্য নির্বাচিত বামপন্থী প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বরিচের টুইটারে সোমবার জ্বলজ্বল করে উঠেছে এই বার্তা। নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বামপন্থীর নির্বাচিত হওয়া এবং তাঁর এই বার্তা ইতিমধ্যেই ভাঁজ ফেলেছে আমেরিকার কপালে।
চিলির কনিষ্ঠতম প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন ৩৫ বছরের গ্যাব্রিয়েল। ভোট শেষ হওয়ার দেড় ঘণ্টার মাথায় পরাজয় স্বীকার করে নেন বরিচের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, অতি দক্ষিণপন্থী নেতা হোসে আন্তোনিয়ো কাস্ত। তখন অবশ্য অর্ধেক ভোট গণনাও শেষ হয়নি। দেখা যায়, বরিচের ঝুলিতে তত ক্ষণে পড়ে গিয়েছে ৫৬ শতাংশ ভোট। কাস্ত পেয়েছিলেন ৪৪ শতাংশ ভোট। ফল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই রাজধানী সান্তিয়াগোর পথে নেমে পড়ে বিপুল জনতা। সেখানেই সমর্থকদের উদ্দেশে এক বার্তায় নতুন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, চিলির নব্যউদারবাদী অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভাঙার চিন্তাও তাঁর মাথায় রয়েছে। তাঁর সমর্থকদের দাবি, দুর্নীতি ও অসাম্যের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে চিলি। গ্যাব্রিয়েল সেই দুর্নীতি ও অসাম্য দূর করার কান্ডারি।
রাষ্ট্রপুঞ্জের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চিলিতে মাত্র ১ শতাংশ বাসিন্দার হাতে রয়েছে সে দেশের ২৫ শতাংশ সম্পদের রাশ। এই অসাম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়েরই প্রতিশ্রুতি নির্বাচনী প্রচারে দিয়েছিলেন বরিচ।
অনেকেরই আশঙ্কা, লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশে বামপন্থী দলগুলির উত্থান চিন্তা বাড়াচ্ছে ওয়াশিংটনের। এ প্রসঙ্গে অনেকেই তুলছেন চিলির সালভাদোর আয়েন্দের সরকারের পতনের ঘটনা। নির্বাচিত সেই বাম সরকারকে উৎখাত করার অভিযোগ উঠেছিল আমেরিকার গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-র বিরুদ্ধে। খুন হয়েছিলেন আয়েন্দে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy