বিকিনি হাইকার গিগি ইউ
মেঘে ঢাকা দুর্গম পাহাড় চূড়ায় বিকিনি পরা তরুণীর ছবি দেখে মনে হতেই পারে কোনও সুপার মডেল। আসলে তিনি তাইওয়ানের পর্বতারোহী গিগি ইউ। গত চার বছরে জয় করেছিলেন ১০০টি শৃঙ্গ। আর পাহাড় চূড়ায় বিকিনি পরা ছবি পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পেয়েছিলেন বিপুল জনপ্রিয়তা। পরিচিত হয়েছিলেন ‘বিকিনি-হাইকার’ নামে। এমন দুঃসাহসী গিগি পর্বতারোহণে গিয়েই প্রাণ হারালেন। সোমবার তাইওয়ানে একটি গিরিখাতের গভীরে তাঁর দেহ শনাক্ত করেছেন উদ্ধারকারীরা। মঙ্গলবার দিনভর সেই দেহ উদ্ধারের চেষ্টা চলেছে।
তাইওয়ানের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ইউশানের (উচ্চতা প্রায় চার হাজার মিটার) উদ্দেশ্যে সম্প্রতি একাই রওনা হন গিগি। প্রথম থেকেই আবহাওয়া খারাপ ছিল। রাতে প্রবল ঠান্ডা। ২৪ ডিসেম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ক্ষতবিক্ষত পায়ের ছবি পোস্ট করে গিগি বলেছিলেন, ‘‘কোনও রকমে প্রাণে বেঁচেছি। আর একটু হলেই তলিয়ে যাচ্ছিলাম গভীর খাদে।’’ বহু ভক্তই সে সময়ে তাঁকে সতর্ক করেছিলেন। বছর ছত্রিশের গিগি শনিবার স্যাটেলাইট ফোনে বন্ধুদের বিপদবার্তা পাঠান। জানান, গভীর খাদে পড়ে গিয়েছেন। কোমরের তলা থেকে নাড়তে পারছেন না। খবর পাওয়া মাত্র হেলিকপ্টারে রওনা হয় উদ্ধারকারী দল। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকায় কাছাকাছি গিয়েও তিন বার ফিরে আসতে হয় তাঁদের। অন্য একটি উদ্ধারকারী দল রওনা হয় পায়ে হেঁটে। প্রায় ২৮ ঘণ্টা পরে গিগির দেহ পাওয়া যায়। ঠান্ডায় জমে গিয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান।
তাইপেইয়ের বাসিন্দা গিগি নিজের ইচ্ছেয় বাঁচতেন। এক বার বন্ধুর কাছে বাজি হেরে পাহাড় চূড়ায় বিকিনি পরা ছবি পোস্ট করেন। তার পরে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে বাড়তে থাকে তাঁর ভক্ত সংখ্যা। এই প্রসঙ্গে গিগি লিখেছিলেন, ‘‘উপযুক্ত পোশাক আর সরঞ্জাম নিয়েই পাহাড়ে উঠি। শুধুমাত্র ছবি তোলার জন্য পোশাক বদল।’’ মেঘে ঢাকা এক পাহাড় চূড়ার ছবি সম্প্রতি ফেসবুকে পোস্ট করে গিগি এ-ও লিখেছিলেন, ‘‘বড্ড সুন্দর এই দুনিয়াটা।’’ মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর সেই ছবিতে এক ভক্তের বার্তা, ‘‘তোমার যাত্রা শুভ হোক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy