Advertisement
E-Paper

রাষ্ট্রপুঞ্জে কন্যাশ্রীর সাফল্য প্রচারে মুখ্যমন্ত্রীর অস্ত্র পাহাড়ি কন্যারা

এই প্রকল্প চালুর পরে কী ভাবে প্রত্যন্ত গ্রামের নাবালিকারা বিয়ে ঠেকাচ্ছে, কী ভাবে স্কুলছুটের সংখ্যা কমছে, সে পরিসংখ্যানও তুলে ধরা হয়েছে। কী ভাবে রাজ্যের প্রায় ৪০ লক্ষ স্কুলপডুয়াকে স্কলারশিপের সুবিধা দেওয়া হয়েছে সে কথা তুলে ধরলেন সমাজকল্যাণ সচিব রোশনী সেন। যা দেখে বিস্মিত আর্জেন্তিনা, কেনিয়া, চিলি, নাইজেরিয়া থেকে আসা সরকারি প্রতিনিধিরা।

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০১৭ ০৫:৩১
কন্যাশ্রী প্রকল্পের পুস্তিকা

কন্যাশ্রী প্রকল্পের পুস্তিকা

শিলিগুড়িতে রাজ্যের ডাকা সর্বদল বৈঠক পাহাড়ের দলগুলি বয়কট করেছে বলে যখন তাঁর কাছে খবর আসছে, তখনই পাহাড়ি কন্যাদের হাসিমুখের ছবি দিয়ে কন্যাশ্রীর সাফল্য বিশ্বমঞ্চে পেশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

দ্য হেগ শহরে আজ থেকে শুরু হয়েছে ইউনাইটেড নেশনস পাবলিক সার্ভিস ফোরামের সম্মেলন। সেখানে জনপরিষেবা ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের উদ্যোগ তুলে ধরছে ‘কন্যাশ্রী’। বিশ্বমঞ্চে কন্যাশ্রী প্রকল্পের বিশদ তথ্যের যে পুস্তিকা আজ রাজ্য সরকার বিলি করেছে, তাতেই রয়েছে পাহাড়ি কন্যাদের হাসিমুখ। আর সেই প্রকল্পের কথা বলতে গিয়ে মমতাও বললেন, ‘‘পাহাড়কে আমি ভালবাসি। পাহাড়ের মানুষও আমায় ভালবাসে। কয়েকজন গুন্ডার জন্য পাহাড়বাসীকে দোষারোপ করব কেন?’’

এই প্রকল্প চালুর পরে কী ভাবে প্রত্যন্ত গ্রামের নাবালিকারা বিয়ে ঠেকাচ্ছে, কী ভাবে স্কুলছুটের সংখ্যা কমছে, সে পরিসংখ্যানও তুলে ধরা হয়েছে। কী ভাবে রাজ্যের প্রায় ৪০ লক্ষ স্কুলপডুয়াকে স্কলারশিপের সুবিধা দেওয়া হয়েছে সে কথা তুলে ধরলেন সমাজকল্যাণ সচিব রোশনী সেন। যা দেখে বিস্মিত আর্জেন্তিনা, কেনিয়া, চিলি, নাইজেরিয়া থেকে আসা সরকারি প্রতিনিধিরা। এ কন্যাশ্রী-পুস্তিকা সংগ্রহে ভিন্ দেশের প্রতিনিধিদের আগ্রহ দেখে পুরস্কারপ্রাপ্তির সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়েছে পশ্চিমবঙ্গের। প্রতীক্ষায় রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও। তাঁর আশা, ‘‘এত দূর এসেছি শুধু স্বীকৃতির জন্য। আমার সাধের প্রকল্পের জন্য রাষ্ট্রসঙ্ঘ পুরস্কার দিতে পারে সেটা জেনেই আমার গায়ে কাঁটা দিচ্ছে!’’

আরও পড়ুন:মসুলের প্রাচীন মসজিদ ও মিনার ওড়াল আইএস

সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী কাল সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টায় রাষ্ট্রসঙ্ঘ এই পুরস্কার ঘোষণা করতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী তার পরে অন্যান্য দেশের মন্ত্রীদের সামনে রাজ্যের সামাজিক উন্নয়নের কথা বলবেন। তবে সব মিলিয়ে ১০-১২ জন মন্ত্রীর আলোচনার জন্য ৪৫ মিনিট সময় রাখা হয়েছে। প্রত্যেকে ৩-৪ মিনিটের বেশি বলতে পারবেন না। তা জেনে মমতার আক্ষেপ, ‘‘কত কিছু বলার ছিল। ওইটুকু সময়ে কী আর বলব!’’ সে জন্য ঠিক হয়েছে, কী কী কাজ হয়েছে তা লিখিত ভাবে দেওয়া হবে অন্য দেশের মন্ত্রীদের।

Kanyasree West Bengal United Nations মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy