বিতর্কিত আইন বাতিল না হলে জোরালো আন্দোলনে নামা হবে। এই মর্মে মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারকে হুঁশিয়ারি দিলেন বাংলাদেশের সরকারি কর্মচারীরা। সোমবার অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিয়েছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন দফতরের কর্মচারীরা। সেখানে বলা হয়েছে, বিতর্কিত আইন বাতিল না হলে ইদ-উজ-জোহার পর বড় আন্দোলনের পথে হাঁটবেন সারা দেশের সরকারি কর্মচারীরা।
সোমবার বিক্ষোভ সমাবেশের পর আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারীরা অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া, তথ্য ও সম্প্রচার দফতরের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের দফতরে স্মারকলিপি জমা দেন। যদিও ওই সময় দুই উপদেষ্টা দফতরে ছিলেন না। আন্দোলনকারীরা একই দাবি নিয়ে মঙ্গলবার ইউনূস সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের কাছে স্মারকলিপি জমা দেবেন।
আরও পড়ুন:
কিন্তু কেন সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলনে নেমেছেন বাংলাদেশের সরকারি কর্মচারীরা? এর নেপথ্যে রয়েছে ইউনূস সরকারের একটি সিদ্ধান্ত। সম্প্রতি শেখ হাসিনার আমলের ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ সংশোধন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ২২ মে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি আইন সংক্রান্ত আইনের সংশোধিত অধ্যাদেশ (অর্ডিন্যান্স)-এর খসড়া অনুমোদিত হয়। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই আন্দোলনে নামেন সে দেশের সরকারি কর্মীদের বড় একটি অংশ। আন্দোলনের মধ্যেই ২৫ মে নয়া অধ্যাদেশ কার্যকর করার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আন্দোলনের গতি আরও বাড়ে।