জনমানসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে অসন্তোষ বাড়ছিলই। এক মার্কিন দৈনিকের দাবি, এ বার তাদের উত্তর সম্পাদকীয়তে নাম গোপন রেখে নিজের হতাশা ও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ট্রাম্প প্রশাসনের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক। ওই উত্তর সম্পাদকীয়তে ইঙ্গিত রয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের আধিকারিকদের একাংশ প্রেসিডেন্টের আচরণ নিয়ে হতাশ। তাঁরা প্রশাসনের মধ্যে থেকেই প্রেসিডেন্টের ভুল নীতি ও প্রকল্প বানচাল করার চেষ্টা করছেন। ওই লেখকের দাবি, তিনিও এই আধিকারিকদেরই এক জন। ট্রাম্পের নীতিহীনতা ও আবেগপ্রবণ সিদ্ধান্তে বিবেচনার অভাব রয়েছে বলেই জানিয়েছেন তিনি। উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের মতবিরোধ-সহ বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে সেই লেখায়। তাতে বলা হয়েছে, ‘‘প্রশাসনের অন্দরে প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত ঘিরে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। আমিও এই প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধে অংশ নিয়েছি।’’
নাম গোপন রেখে মুখ খোলায় ওই লেখককে ‘কাপুরুষ’ বলেছেন ট্রাম্প। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহেরও অভিযোগ তুলেছেন তিনি। সঙ্গে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন মার্কিন দৈনিকটির দিকেও। ট্রাম্পের প্রেসসচিব সারা স্যান্ডার্স জানান, ওই ব্যক্তি প্রতারণা করেছেন। দেশের পরিবর্তে নিজের ইগোকেই প্রাধান্য দিয়েছেন তিনি। ওই অজ্ঞাতপরিচয় লেখককে অবিলম্বে প্রশাসন থেকে সরে দাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
ট্রাম্পের কটাক্ষের উত্তরে সংশ্লিষ্ট মার্কিন দৈনিকটি জানিয়েছে, এমন একটি লেখা ছাপতে পেরে তারা গর্বিত। কারণ প্রশাসনের অন্দরে কী চলছে, তা জনসমক্ষে তুলে ধরা সম্ভব হয়েছে এই লেখার মাধ্যমে।
ঘটনাচক্রে লেখাটি প্রকাশিত হওয়ার আগের দিনই বব উডওয়ার্ডের একটি বই প্রকাশিত হয়, যেখানে প্রশাসনিক ‘অভ্যুত্থানের’ ইঙ্গিত রয়েছে।
ওই অজ্ঞাতপরিচয় লেখক অবশ্য চলতি সরকারের আমলে গৃহীত অনেক প্রকল্পের সঙ্গে সহমতও হয়েছেন। তবে মনে করেন, সে সব ভাল কাজের জন্য প্রেসিডেন্টের কোনও কৃতিত্ব নেই।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দানা বেঁধেছে কেন? বিভিন্ন বৈঠক আয়োজনে নড়বড়ে অবস্থা, প্রেসিডেন্টের আবেগপ্রবণ হাবভাব, সিদ্ধান্তে অবিচল থাকতে না পারা, বিদ্বেষমূলক এবং অগণতান্ত্রিক মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ওই ছদ্ম লেখক। তিনি লিখেছেন, ‘‘আমরা চাই প্রশাসন ভাল ভাবে চলুক এবং সমস্ত প্রকল্প যেন আমেরিকার সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার সহায়ক হয়।’’ প্রেসিডেন্টের খামখেয়ালি আচরণকে দুষে দেশের স্বার্থরক্ষাকেই অগ্রাধিকার দেন তিনি।
ওই নিবন্ধের লেখক কে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জল্পনা। কেউ কেউ মনে করেন, লেখক মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব জেমস ম্যাটিস কিংবা চিফ অব স্টাফ জন কেলি। কারণ উডওয়ার্ডের বইতে ম্যাটিস ও কেলির সঙ্গে ট্রাম্পের বিবাদের কথা বলা হয়েছে। ট্রাম্প লেখকের পরিচয় প্রকাশের দাবি তুললেও সংশ্লিষ্ট মার্কিন দৈনিকের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বলা হয়েছে, লেখকের পরিচয় গোপন রাখতে তারা বদ্ধপরিকর। যদিও মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের দফতর–সহ ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকেরা মার্কিন দৈনিকে লেখার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy