গত কয়েক সপ্তাহে তিন-তিন বার কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালনের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। কিন্তু আজ ফ্রান্সের বিয়ারিৎজ় শহরে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের পার্শ্ববৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পাশে নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়ে দিলেন, ভারত-পাকিস্তান নিজেদের মধ্যে বিষয়টির ‘খুব ভাল সমাধান’ করতে পারে বলে তিনি নিশ্চিত।
কাশ্মীর নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এহেন অবস্থান বদলকে কূটনৈতিক জয় হিসেবেই দাবি করছে বিদেশ মন্ত্রক। মোদীও স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছেন কাশ্মীর ভারত-পাকিস্তানের নিজেদের সমস্যা। এই নিয়ে অন্য কোনও দেশকে ‘কষ্ট’ দিতে ভারত চায় না!
ঠিক এক মাস আগে ওয়াশিংটনে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকে দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে যে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল, তা নতুন মাত্রা পায় মোদী সরকার সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করে নেওয়ায়। আর আজ মোদী-ট্রাম্প বৈঠকের পরে সাময়িক ভাবে বিতর্কে ধামাচাপা পড়ল বলেই মনে করছে কূটনৈতিক শিবির। সূত্রের বক্তব্য, আফগানিস্তান থেকে যত দ্রুত সম্ভব সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে পাকিস্তানের উপরে নির্ভর করতে হচ্ছে হোয়াইট হাউসকে। পাকিস্তানের ভূ-কৌশলগত অবস্থান এমনই যে কাবুলে শান্তি বজায় রাখতে হলে ইসলামাবাদকে সঙ্গে রাখতেই হবে আমেরিকাকে। তবে তা ভারতকে ব্রাত্য করে নয়। এক কূটনৈতিক কর্তার বক্তব্য, ‘‘এ ক্ষেত্রে দু’টি লেনদেনের কথা মাথায় রাখছেন ট্রাম্প। এক, ভারতকে সঙ্গে রাখলে পাকিস্তানকে চাপে রেখে নিজেদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করা, অর্থাৎ আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা সম্ভব। দুই, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত সম্পর্ক এই মুহূর্তে ক্ষতিগ্রস্ত হতে দিতে চাইছে না আমেরিকা। কারণ, চিনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার পর, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতকে নিয়ে চলাটা তাদের জাতীয় কৌশলের মধ্যে পড়ে।’’