ব্রেক্সিটপন্থী সব দৈনিকের প্রথম পাতায় আজ ছিল একটাই ছবি। বিয়ারের গ্লাস হাতে বরিস জনসন, ক্যাপশন: ‘চিয়ার্স’ (উল্লাস)। এই উল্লাস প্রকৃতপক্ষে ব্রেক্সিট পার্টির নেতা নাইজেল ফারাজের জন্য। কারণ গত কাল ফারাজ জানিয়েছেন, কনজ়ারভেটিভ এমপি-দের হাতে থাকা কোনও আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে না তাঁর দল। এই ‘বোনাস’ পেয়ে যারপরনাই খুশি কনজ়ারভেটিভ নেতা তথা প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
তবে এরই মধ্যে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিন্টন আবার আজ বলেছেন, এ বারের ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত ব্রিটেনের রাজনীতিতে রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করছে না বরিসের সরকার। এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং এর কোনও ব্যাখ্যা হয় না। একটি ব্রিটিশ চ্যানেলে হিলারি বলেছেন, ‘‘এ দেশে যাঁরা ভোট দিচ্ছেন, তাঁদের প্রত্যেকের ভোটের আগে ওই রিপোর্ট দেখা উচিত।’’ ব্রিটেনের গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের গণভোট এবং ২০১৭ সালের সাধারণ নির্বাচন প্রভাবিত করতে রুশ হস্তক্ষেপের প্রমাণ রয়েছে ওই সব রিপোর্টে। রিপোর্টটি চূড়াম্ত হয় গত মার্চ মাসে। প্রধানমন্ত্রীর দফতরে সেটি পাঠানো হয় ১৭ অক্টোবর। ১০ ডাউনিং স্ট্রিট বলছে কোনও রিপোর্ট চেপে দেয়নি তারা। বিরোধী লেবার পার্টি আবার দাবি করেছে, সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে বড় ধরনের সাইবার হানা রুখতে সমর্থ হয়েছে তারা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছু দিন আগে এক রেডিয়ো চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে বরিসকে বার্তা দিয়েছিলেন, নাইজেলের সঙ্গে মিলে লড়লে আখেরে লাভ হবে। তার পরেও অবশ্য নাইজেল-বরিসের মধ্যে মীমাংসা হয়নি। সপ্তাহখানেক আগেও নাইজেল বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, বরিসের ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে তাঁর আপত্তি রয়েছে। আর তাই ৫৫০টি আসনেই তাঁর দল ব্রেক্সিট পার্টি প্রার্থী দেবে। তার পরে হঠাৎই কনজ়ারভেটিভদের জন্য আসন ছেড়ে দেওয়া কেন?