Advertisement
E-Paper

আমেরিকার সাহায্য বন্ধ হওয়ায় বাংলাদেশে অনেক প্রকল্প থমকে, ৯০ দিনের অনিশ্চয়তায় কর্মীরা

ইউএসএইড-এর প্রকল্পগুলির সঙ্গে বাংলাদেশের যে সমস্ত কর্মী যুক্ত, তাঁরা অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। ইতিমধ্যে অনেকে চাকরি হারিয়েছেন বলে দাবি বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:২৫
(বাঁ দিকে) আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস (ডান দিকে)। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

আমেরিকার অর্থনৈতিক সাহায্য সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক প্রকল্প থমকে গিয়েছে বাংলাদেশে। আমেরিকার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএইড)-এর সাহায্যে যে প্রকল্পগুলি চলত, সেগুলি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আপাতত ৯০ দিনের জন্য এই সাহায্য বন্ধের কথা জানিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই তিন মাসে ইউএসএইড-এর যাবতীয় সাহায্য খতিয়ে দেখবে হোয়াইট হাউস। কোনওটি অপ্রয়োজনীয় মনে হলে বাতিলও করে দেওয়া হতে পারে। শুধু বাংলাদেশ নয়, একাধিক দেশের ক্ষেত্রেই ইউএসএইড বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঘোষণার পর থেকেই শঙ্কায় ঢাকা। অন্য দিকে, ভারতের ক্ষেত্রে অনুদান চালু না বন্ধ থাকবে, সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি ওয়াশিংটন। জানা গিয়েছে, বিষয়টি বর্তমানে পর্যালোচনার স্তরে রয়েছে।

ইউএসএইড-এর প্রকল্পগুলির সঙ্গে বাংলাদেশের যে সমস্ত কর্মী যুক্ত, তাঁরা অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। ইতিমধ্যে অনেকে চাকরি হারিয়েছেন বলে দাবি বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের। দফতরগুলিতে স্থবির হয়ে পড়েছে কার্যক্রম। অনেক ক্ষেত্রে কর্মীরা অফিসে যাচ্ছেন, কিন্তু তাঁদের কোনও কাজ করতে হচ্ছে না। কোথাও কোথাও আবার বাড়ি থেকে কাজের ফরমান জারি করা হয়েছে। সেখানেও তেমন কোনও ‘কাজ’ পাচ্ছেন না কর্মীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেউ কেউ জানাচ্ছেন, ৯০ দিন পরে কী হবে, তা তাঁরা জানেন না। চাকরি থাকবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

বাংলাদেশে ইউএসএইড-এর যে ওয়েবসাইটটি চলত, ট্রাম্পের ঘোষণার পরে তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক বিভিন্ন সংস্থার সংগঠন এডিএবি-র প্রধান একেএম জসিম উদ্দিন বলেন, ‘‘আশা করি, ৯০ দিন পরে পর্যালোচনার মাধ্যমে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবে আমেরিকার প্রশাসন।’’

বাংলাদেশে ইউএসএইড-এর সাহায্যে বিভিন্ন প্রকল্পে অন্তত ২০ হাজার মানুষ কাজ করেন। ট্রাম্পের ঘোষণার পর থেকে তাঁদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ট্রাম্পের দফতর থেকে জানানো হয়েছে, আমেরিকার উন্নতির স্বার্থে যা প্রয়োজন, তা-ই করা হবে। পর্যালোচনার পর কোন কোন সাহায্য চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, কোনগুলি বাতিল করা হবে, ট্রাম্প সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। যেখান থেকে আমেরিকার লাভ হচ্ছে, সেগুলি তিনি রাখবেন। অন্যগুলি বাতিল করে দিতে পারেন। ট্রাম্পের এই ঘোষণার প্রভাব পড়েছে পাকিস্তান-সহ একাধিক দেশের অর্থনীতিতে।

Bangladesh USAID Donald Trump Md Yunus Muhammad Yunus
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy