আহার: ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় ঘর ছেড়েছেন। সাত মাসের খুদেকে নিয়ে আশ্রয়শিবিরে মা। ফ্লোরিডার নর্থ মায়ামি বিচ শহরে। শুক্রবার। ছবি: এপি
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে তাণ্ডব চালিয়ে এ বার ইরমার নজরে ফ্লোরিডা। ঝড়ের সতর্কবার্তা পেয়েই সময় থাকতে প্রস্তুত হচ্ছে প্রদেশটি। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, হাতে আর মাত্র এক দিন। রবিবারের মধ্যেই ফ্লোরিডায় আছড়ে পড়বে এই ঝড়। আমেরিকার ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস জানিয়েছে, ফ্লোরিডায় পৌঁছে আরও বিধ্বংসী আকার নেবে ইরমা। গৃহহীন হতে পারেন এক লাখের কাছাকাছি মানুষ।
শুক্রবার ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে এই ঝড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৮। ক্ষতিগ্রস্ত ১২ লাখ মানুষ। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ইরমার শক্তি কিছুটা কমছে ঠিকই (ক্যাটেগরি ৫ থেকে ক্যাটেগরি ৪), তবে এখনও এই ঝড়ের চোখরঙানি কমেনি। চলতি সপ্তাহেও ২৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝড়ের দাপটে কাঁপবে আমেরিকা। রবিবারের মধ্যে ফ্লোরিডায় পৌঁছে যাবে ইরমা। গভর্নর রিক স্কট বলেছেন, ‘‘পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগে আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। যে যে প্রান্তেই থাকুন না কেন প্রত্যেককে সতর্ক করা হচ্ছে।’’ দক্ষিণ ফ্লোরিডা থেকে সরে যেতে বলা হয়েছে অন্তত পাঁচ লাখ মানুষকে। মার্কিন আপৎকালীন দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘এই ঝড়ে জোরদার বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পাবে। তছনছ হয়ে যাবে ফ্লোরিডা বা দক্ষিণ-পূর্বের বেশ কিছু প্রদেশ।’’ আগেভাগেই তাই বাড়ির জানলা-দরজা কাঠের টুকরো লাগিয়ে বন্ধ করে দিচ্ছেন বাসিন্দারা। ঘরে জমাচ্ছেন বালির বস্তা।
শুধু ফ্লোরিডাই নয়, ইরমার সঙ্গে লড়াইয়ে প্রস্তুত হচ্ছে জর্জিয়া ও সাউথ ক্যারোলাইনাও। জর্জিয়ায় ৩০টি কাউন্টিতে জারি হয়েছে জরুরিঅবস্থা। সাভানা থেকেও সরে যেতে বলা হয়েছে বহু মানুষকে। আশঙ্কা, ঝ়ড়ের গতিপথের মধ্যে পড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যাবে মায়ামিও। ইতিমধ্যেই পানীয় জল কিনতে সেখানে লম্বা লাইন পড়েছে দোকানের বাইরে। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ফ্লোরিডার পাম বিচে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার-এ-লাগো এস্টেট থেকেও সরে যেতে বলা হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy