পালস নাইটক্লাব থেকে মাকে লিখেছিলেন, মরে যাচ্ছি। নিহত সেই যুবক এডি জাস্টিসের ছবি সামনে এল এ বার। ছবি: রয়টার্স।
টুইটারে এখন ভূতের উপদ্রব! তাদের জন্যই আইএস সমর্থকদের অনেকের প্রোফাইলে সাতরঙা ছবি। লেখা, ‘আমি সমকামী। এবং আমি গর্বিত’।
আইএস জঙ্গিদের প্রোফাইলে হঠাৎ এই ছবি দেখলে চমক লাগাটা অস্বাভাবিক নয়। এই অদ্ভুতুড়ে কীর্তির পিছনে অবশ্য রয়েছে ‘ওয়াচুলা ঘোস্ট’। এক হ্যাকারের ছদ্মনাম। আইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রায় ১৬০ জনের প্রোফাইলে এই ভাবেই ঢুকে পড়েছেন এই ‘ঘোস্ট’! সমকামিতার সমর্থনে ছবির পাশাপাশি তিনি পোস্ট করেছেন নগ্ন মহিলাদের ছবি এবং পর্নোগ্রাফিও। ‘অ্যাননিমাস’ হ্যাকার গোষ্ঠীর অধীনে ওয়েব দুনিয়ায় আইএসের সঙ্গে যুদ্ধটা অবশ্য শুরু হয়েছিল বছরখানেক আগেই। আর সেই গোষ্ঠীরই এক সদস্য ‘ওয়াচুলা ঘোস্ট’। গত শনিবার রাতে ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোয় সমকামী নাইটক্লাবে বন্দুকবাজের হামলার নিহত হন ৫০ জন। তার দায় নিয়েছে আইএস। যদিও তদন্তকারীরা এখনও এ বিষয়ে কিছু জানাননি। কিন্তু এর পরেই হ্যাকিং বেড়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন ‘ওয়াচুলা’। তাঁর কথায়, মহিলা এবং পর্ন এই দু’টিকে আইএসের একেবারেই না-পসন্দ। তাই সেগুলিকে অস্ত্র করেই ভার্চুয়াল জগতে আইএসের ক্ষমতা কমাতে উদ্যত এরা। ‘‘যত ওরা (আইএস) ক্ষেপবে, ততই মজা বাড়বে’’, হাসতে হাসতেই বললেন ‘ওয়াচুলা ঘোস্ট’।
অনেকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ঘোস্টকে, অনেকে উল্টো কথাও বলেছেন। সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, টুইটারে পর্ন পোস্ট করলে অনেকের ধর্মীয় ভাবাবেগে তা আঘাত করতে পারে। ‘ঘোস্ট’ও মেনে নিয়েছেন সে কথা। বিশেষ করে, এই জাতীয় পোস্ট যে শিশু মনে কুপ্রভাব ফেলতে পারে, তা-ও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাঁর বক্তব্য, তিনি নিরুপায়। এই ভিডিওগুলি মূলত আইএসের জঙ্গি এবং তাদের সমর্থকদের জন্যই। বরং উল্টে ‘ওয়াচুলা’ই প্রশ্ন করলেন, ‘‘আচ্ছা, মাথা কাটার যে ভিডিগুলি ওরা পোস্ট করে, তা কি কাউকে আঘাত করে না?’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy