Advertisement
E-Paper

বিদেশ থেকে কত ঋণ নিতে পারবে বাংলাদেশ? এই প্রথম সীমা বেঁধে দিল আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার, চাপ বাড়ল ঢাকার?

বাংলাদেশের জন্য ৫৫০ কোটি ডলারের ঋণ মঞ্জুর করেছিল আইএমএফ। গত জুন মাসে তার চতুর্থ এবং পঞ্চম কিস্তি পুনর্মূল্যায়ণের সময় নতুন শর্তটি আরোপ করা হয়েছে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:০১
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। —ফাইল চিত্র।

বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা ঋণ নিতে পারবে বাংলাদেশ? এই প্রথম সীমা বেঁধে দিল আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার (আইএমএফ)। চলতি অর্থবর্ষে (২০২৫-২৬) বাংলাদেশ ৮৪৪ কোটি ডলারের (ভারতীয় মুদ্রায় ৭৪ হাজার কোটি টাকা) বেশি ঋণ বিদেশ থেকে নিতে পারবে না বলে জানানো হয়েছে। এর আগে আইএমএফ-এর তরফে বাংলাদেশের উপর এমন কোনও বিধিনিষেধ ছিল না। বলা হয়েছে, বহিরাগত ঋণের ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করতেই এই পদক্ষেপ। বিশেষজ্ঞদের কারও কারও দাবি, এতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের চাপ আরও বাড়ল।

বাংলাদেশের জন্য ৫৫০ কোটি ডলারের (৪৮ হাজার কোটি টাকা) ঋণ মঞ্জুর করেছিল আইএমএফ। গত জুন মাসে তার চতুর্থ এবং পঞ্চম কিস্তি পুনর্মূল্যায়ণের সময় নতুন শর্তটি আরোপ করা হয়েছে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টার জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ ৭৪ হাজার কোটি টাকা বিদেশ থেকে ঋণ হিসাবে নিতে পারবে ঢাকা। তার মধ্যে প্রথম ত্রৈমাসিকে ১৬ হাজার কোটি টাকা এবং প্রথম অর্ধে সর্বোচ্চ ২৯ হাজার কোটি টাকা নেওয়া যাবে। প্রতি ত্রৈমাসিকে বিদেশ থেকে নেওয়া ঋণের হিসাবে কড়া নজর রেখেছে আইএমএফ।

বাংলাদেশের জন্য মূল ঋণের প্রকল্পে আইএমএফ অনুমোদন দিয়েছিল ২০২৩ সালে। তার চতুর্থ এবং পঞ্চম কিস্তিতে অনুমোদন মিলেছে গত জুনে। তার মেয়াদও ছ’মাসের জন্য বৃদ্ধি করা হয়। এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশ হাতে পেয়েছে ৩১ হাজার কোটি টাকা।

বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নতুন শর্তটি আইএমএফ-এর ঋণ স্থায়িত্ব বিশ্লেষণের অঙ্গ। সেখানে ২০২৩ এবং ২০২৪ অর্থবর্ষে টানা দু’বছরের জন্য বাংলাদেশকে ‘মাঝারি ঝুঁকি’র দেশের তালিকায় রাখা হয়েছে। এর আগে তা ছিল ‘কম ঝুঁকি’র তালিকায়। আয়ের প্রেক্ষিতে ঋণ পরিশোধের ক্রমবর্ধমান চাপের ভিত্তিতে এই তালিকা তৈরি করা হয়। ওই আধিকারিকের কথায়, ‘‘বাংলাদেশের মোট বহিরাগত ঋণ এখনও আইএমএফ-এর নির্ধারিত সীমার নীচেই রয়েছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেড়েছে। তাই এটা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা।’’

২০২৪ সালের ৫ অগস্ট বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকার পড়ে গিয়েছে। গণবিক্ষোভের চাপে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভারতে পালিয়ে এসেছেন হাসিনা। এর পর ৮ অগস্ট সেখানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। তারা সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের উপর অর্থনৈতিক চাপ আগের চেয়ে বেড়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের কারও কারও অভিমত।

Bangladesh International Monetary Fund IMF Muhammad Yunus
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy