Advertisement
E-Paper

চিনা চ্যালেঞ্জ সামলাতে এশিয়ায় সেনা বাড়াচ্ছে আমেরিকা

জার্মানিতে মোতায়েন মার্কিন সেনার সংখ্যা ৫২ হাজার থেকে কমিয়ে ২৫ হাজার করা হচ্ছে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২০ ১০:৫৬
মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো। -ফাইল ছবি।

মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো। -ফাইল ছবি।

এশিয়ায় চিনের ‘রণং দেহি’ মনোভাব দেখে ইউরোপ থেকে সরিয়ে বিশ্বের অন্যত্র বাড়তি সেনা মোতায়েন করতে শুরু করেছে আমেরিকা। ব্রাসেলসে এক ভিডিয়ো বৈঠকে বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো। চিন যে ভাবে উত্তরোত্তর ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্সের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক হয়ে উঠছে, তাতে পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) যথাযথ মোকাবিলার জন্য সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে মার্কিন বিদেশসচিব জানিয়েছেন।

তাঁর কথায়, ‘‘পিএলএ-র মোকাবিলায় আমরা সব রকম ভাবে প্রস্তুত কি না, সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত হতে চাইছি। আমরা এই সময়ের বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে ভাবছি। যদিও জানি, পিএলএ-র মোকাবিলার মতো পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে কোনও অসুবিধা হবে না।’’

পম্পেয়োর ইঙ্গিত, এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশেই। তিনি জানিয়েছেন, ভারত, মালয়েশিয়া-সহ কয়েকটি দেশের নিরাপত্তা চিনা সেনাবাহিনীর আগ্রাসী মনোভাবে উত্তরোত্তর বিপদাপন্ন হয়ে পড়ায় ইউরোপে মোতায়েন মার্কিন সেনার সংখ্যা কমিয়ে এশিয়ায় তা বাড়ানো হচ্ছে। প্রথম পদক্ষেপটি করা হচ্ছে জার্মানিতে। সেখানে মোতায়েন মার্কিন সেনার সংখ্যা ৫২ হাজার থেকে কমিয়ে ২৫ হাজার করা হচ্ছে। বাস্তব পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই বিশ্বের নানা প্রান্তে মোতায়েন মার্কিন সেনার নতুন বিন্যাস করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পম্পেয়ো।

আরও পড়ুন: ডিবিও সড়ক লক্ষ্য চিনের, প্রহরায় সেনা

আরও পড়ুন: লাদাখ ঘুরে এসে রিপোর্ট দিচ্ছেন নরবণে, তার পর স্থির পরবর্তী পদক্ষেপ

মার্কিন বিদেশসচিবের কথায়, ‘‘চিনা কমিউনিস্ট পার্টির পদক্ষেপ যে শুধুই ভারতের সীমান্ত নিরাপত্তার ক্ষেত্রেই বিপজ্জনক হয়ে উঠছে তা নয়; তা ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্সের মতো এশিয়ার আরও কয়েকটি দেশকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের তত্‍‌পরতাও মেনে নেওয়া যায় না। তাই কোনও কোনও জায়গায় মোতায়েন মার্কিন সেনার সংখ্যা কমাতে হবে। আবার ক‌োথাও কোথাও তা বাড়াতে হবে। নিজেদের নিরাপত্তা সুরক্ষিত রাখতে অন্য দেশগুলিকেও আরও এগিয়ে আসতে হবে। আমরা যা করব তা ওই দেশগুলির সঙ্গে আলোচনা করেই করব।’’

গত সপ্তাহেও মাইক পম্পেযো চিনের সেনাবাহিনীর সমালোচনা করেছিলেন। ভারতের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনা বাড়ানো এবং কৌশলগত ভাবে দক্ষিণ চিন সাগরের সামরিকীকরণের জন্যে চিনা সেনাবাহিনীর নিন্দা করেন তিনি।

গত ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এক কর্নেল-সহ ২০ জন ভারতীয় সেনা প্রাণ হারান। ওই সংঘর্ষের সময় জখম হন আরও ৭৬ জন ভারতীয় জওয়ানও। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক বলেছে যে, চিন যেভাবে এই অঞ্চলে আরও বেশি করে সেনা মোতায়েন করছে তাতে দু’দেশের মধ্যে শান্তিরক্ষার্থে ৬ জুন যে চুক্তি করা হয়েছিল তা লঙ্ঘিত হয়েছে। দুই দেশের মেজর জেনারেল স্তরে হওয়া ওই বৈঠকে ঠিক হয়েছিল, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে থাকা চিনা ছাউনিটি সরিয়ে নেওয়া হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।

mike pompeo US CHINA
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy