আমেরিকার ৪৬তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে জো বাইডেন শপথ নেওয়ার পরেই ওই দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের কক্ষপথ আমূল বদলে যাওয়ার আশা করছে না কূটনৈতিক শিবির। বরং সাউথ ব্লকের ধারণা, হোয়াইট হাউসে পা রাখা নতুন প্রেসিডেন্ট এবং তাঁর প্রশাসন পাকিস্তান, চিন, রাশিয়া, ইরানের মতো দেশগুলির বিষয়ে কী অবস্থান নিচ্ছে, ভারতের জাতীয় স্বার্থ এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অনেকখানি নির্ভর করবে তার উপরেও। আগামী কয়েক মাসে এই ছবি ক্রমশ স্পষ্ট হবে বলে আশাবাদী তারা।
কূটনীতিকদের একাংশের মতে, সদ্য মেয়াদ শেষ হওয়া প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জমানায় ভারত-আমেরিকা সম্পর্কে দু’টি বিষয় সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। অথচ তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই দুই বিষয়ে ট্রাম্পের অবস্থান ছিল বিপরীত মেরুর। তাঁর সময়ে দু’দেশের বাণিজ্যনীতি ঘিরে সংঘাত তীব্রতর হয়েছে। বাণিজ্য-চুক্তি নিয়ে শেষ দু’বছরে মতানৈক্য বেড়েছে। অনেক সময়ে সেই সূত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করতেও পিছপা হননি ট্রাম্প। অথচ সেই ‘দুস্তর ব্যবধান’ সত্ত্বেও প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সহযোগিতা গভীর হয়েছে আগের তুলনায় বেশি। অনেকেই মনে করেন, কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদে ট্রাম্প-প্রশাসন সে ভাবে মুখ খুললে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রশ্নে আন্তর্জাতিক আঙিনায় অনেক বেশি প্রশ্নের মুখে পড়ত মোদী সরকার।
এখন বাইডেন-জমানাতেও আলোচনার পুরোভাগে থাকবে এই দুই বিষয়ই। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের মতে, এক দিকে, বাণিজ্য-চুক্তির বাধাগুলিকে সামনে এনে দ্রুত আমেরিকার সঙ্গে কথা শুরু করা হবে। অন্য দিকে, নিরাপত্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কৌশলগত স্তরে যে সাফল্য ট্রাম্পের আমলে ঘরে এসেছে, তাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সক্রিয় হবে দিল্লি।