ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিতা আনন্দ কানাডার নতুন বিদেশমন্ত্রী হলেন। প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নে বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার রদবদল করেছেন। বিজ্ঞান-প্রযুক্তি এবং শিল্পমন্ত্রী দায়িত্ব থেকে সরিয়ে বিদেশমন্ত্রী করা হয়েছে অনিতাকে।
কার্নের পূর্বসূরি জাস্টিন ট্রুডোর জমানায় খলিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদে কানাডার মদত ঘিরে নয়াদিল্লি-অটোয়া কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছেছিল। এই আবহে ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিতার বিদেশমন্ত্রী হওয়া ভারতের প্রেক্ষিতে তাৎপর্যপূর্ণ বলে কূটনীতিকদের একাংশ মনে করছেন। হিন্দু ধর্মাবলম্বী নেত্রী বৃহস্পতিবার গীতায় হাত রেখে বিদেশমন্ত্রী হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করেন।
আরও পড়ুন:
ট্রুডোর জমানায় কানাডার পরিবহণমন্ত্রীর পদে থাকা অনিতা ২০১৯ সাল থেকে কানাডার সাংসদ। তামিল পরিবারে জন্ম তাঁর। মা পঞ্জাবি। এর আগে কানাডার প্রতিরক্ষা দফতরের দায়িত্বও সামলেছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রাক্তনী। ষাটের দশকের গোড়ায় ভারত থেকে কানাডায় চলে আসেন চিকিৎসক দম্পতি সরোজ ডি রাম এবং এস ভি আনন্দ। তাঁদের কন্যা অনিতার জন্ম নোভা স্কোশিয়ার কেন্টভিলে, ১৯৬৭ সালের ২০ মে। ২০১৯ সালে প্রথম বার হাউস অব কমন্সের ভোটে দাঁড়িয়ে অনিতা নির্বাচিত হন ওকভিল থেকে। দায়িত্ব পান ক্রয় ও জনকল্যাণ দফতরের। অতিমারির সময়ে টিকা ও সুরক্ষা সরঞ্জাম আমদানির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। কানাডার ট্রেজ়ারি বোর্ডের প্রেসিডেন্টের দায়িত্বও পালন করেছেন। ক্ষমতসীন লিবারেল পার্টির অন্দরে মতবিরোধের জেরে ট্রুডোর ইস্তফার পরে যে নেতাদের নাম ‘প্রধানমন্ত্রিত্বের দাবিদার’ হিসেবে উঠে এসেছিল, তাঁদের মধ্যে ছিলেন অনিতাও।