ফের কুখ্যাত লরেন্স বিশ্নোই গ্যাংয়ের হামলা কানাডায়। এ বার গুলিতে নিহত হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অ্যাবটসফোর্ডের এক শিল্পপতি। গুলিবৃষ্টি হয়েছে কানাডার বাসিন্দা এক পঞ্জাবি গায়কের বাড়িতেও। দুই ঘটনারই দায় স্বীকার করে নিয়েছে বিশ্নোই গ্যাং। মনে করা হচ্ছে, দলের অন্যতম সদস্য জগদীপ সিংহ ওরফে জগ্গার গ্রেফতারির পরেই এই হামলা।
সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে বিশ্নোই গ্যাংয়ের সদস্য গোল্ডি ধীলোঁ জানিয়েছেন, কানাডায় তাঁরা দর্শন সিংহ সহসি নামে এক শিল্পপতিকে গুলি করে খুন করেছেন। খুনের কারণ হিসাবে, বিশ্নোই দলের দাবি, ৬৮ বছরের ওই ব্যবসায়ী মাদক কারবারে যুক্ত ছিলেন। পাশাপাশি, অর্থ দাবি করতেন বিশ্নোই দলের কাছে। তাই খুন করা হয়েছে তাঁকে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গত সোমবার সকালে বাসভবনের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ী। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, ওই ব্যবসায়ীর জন্য বন্দুকবাজেরা অপেক্ষায় ছিলেন। তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে গাড়িতে উঠে বসতেই তাঁকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি গুলি ছুড়ি পালিয়ে যান আততায়ীরা। পুলিশ যখন ঘটনাস্থলে যায় তখন রক্তাক্ত অবস্থায় গাড়িতে পড়ে ছিলেন প্রৌঢ়। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় চলছিল। কিন্তু তাঁর মধ্যেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শিল্পপতি।
১৯৯১ সালে ভারত থেকে কানাডায় যান দর্শন। সেখানেই বসবাস শুরু করেন। পোশাক পুনর্ব্যবহার শিল্পে পসার জমান তিনি। প্রথম জীবনে টুকটাক কাজ করা ওই ব্যক্তি কয়েক বছরের মধ্যে কানাডার শিল্পমহলে নাম করেন। বড় কোম্পানির মালিক তিনি। বস্তুত, দেশ-বিদেশে দর্শনের সংস্থার নাম রয়েছে। পাশাপাশি দানধ্যানেও নাম ছিল তাঁর। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ কানাডার পঞ্জাবি সম্প্রদায়। শিল্পপতির খুনের ঘটনায় বিশ্নোই গ্যাং নিয়ে আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন কানাডায় থাকা ভারতীয় বংশোদ্ভূত লোকজন।
আরও পড়ুন:
অন্য দিকে, পঞ্জাবি গায়ক চন্নী নট্টনের বাড়িতেও হামলা চালিয়েছে বিশ্নোই গ্যাং। তাঁর উপর হামলার কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে, গায়ক সর্দার খেরার সঙ্গে তাঁর সদ্ভাব ভাল চোখে দেখছেন না বিষ্ণোই।
কিছু দিন আগে কৌতুকশিল্পী কপিল শর্মার রেস্তরাঁয় ভয়াবহ হামলা হয়। ক্যাফে খোলার পরেই এলোপাথাড়ি গুলি চলে। তখন ওই ঘটনার দায় স্বীকার করেন হরজিৎ সিংহ লাড্ডি নামে এক ব্যক্তি। নিজেকে বিশ্নোই গ্যাংয়ের লোক বলে দাবি করেন তিনি।