Advertisement
E-Paper

ব্রেস্টপাম্পে সন্দেহ, বিমানবন্দরে হেনস্থা ভারতীয় মহিলার

ব্যাগে ব্রেস্ট পাম্প অথচ সঙ্গে বাচ্চা নেই। দেখে সন্দেহজনক বলে মনে হয়েছিল নিরাপত্তা রক্ষীদের। সেই সন্দেহ মেটাতেই ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে রীতিমতো ‘পরীক্ষা’ দিতে হল ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক মহিলাকে। সিঙ্গাপুরের বাসিন্দা গায়ত্রী বসু নামে ওই যাত্রীর অভিযোগ, তিনি যে বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ান, তা প্রমাণ করতে হয় তাঁকে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:৩৮
গায়ত্রী বসু।

গায়ত্রী বসু।

ব্যাগে ব্রেস্ট পাম্প অথচ সঙ্গে বাচ্চা নেই। দেখে সন্দেহজনক বলে মনে হয়েছিল নিরাপত্তা রক্ষীদের। সেই সন্দেহ মেটাতেই ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে রীতিমতো ‘পরীক্ষা’ দিতে হল ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক মহিলাকে। সিঙ্গাপুরের বাসিন্দা গায়ত্রী বসু নামে ওই যাত্রীর অভিযোগ, তিনি যে বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ান, তা প্রমাণ করতে হয় তাঁকে। প্রায় মিনিট পঁয়তাল্লিশ আটকে রেখে নানা আপত্তিকর প্রশ্নও করা হয়। হেনস্থায় তিতিবিরিক্ত গায়ত্রী আইনি পদক্ষেপ করার কথা বলেছেন।

ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবারের। জার্মানি হয়ে একাই প্যারিস যাচ্ছিলেন ওই যাত্রী। তাঁর তিন বছর ও সাত মাসের দুই সন্তান থাকলেও তখন সঙ্গে ছিল না তাদের কেউ। প্যারিসের বিমানে ওঠার আগে নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরীক্ষার সময় স্ক্যানারে ধরা পড়ে তাঁর ব্যাগে থাকা ব্রেস্ট পাম্পটি (কৃত্রিম ভাবে স্তন্যদুগ্ধ নিষ্কাশনের যন্ত্র)। গায়ত্রীর অভিযোগ, তখনই তাঁকে জোর করে আলাদা ঘরে নিয়ে যান এক মহিলা নিরাপত্তা রক্ষী। নিয়ে নেওয়া হয় পাসপোর্ট। এক পরিবহণ সংস্থার ম্যানেজার গায়ত্রীর দাবি, এর পর ওই নিরাপত্তা রক্ষী তাঁকে ব্লাউজ খোলার নির্দেশ দেন। এখানেই প্রথম ধাক্কাটি খান গায়ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘আমি যে বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াই তার প্রমাণ চাওয়া হয়। আমায় ব্লাউজ খুলতে বলেন ওই রক্ষী।’’ এমনকী কী ভাবে ব্রেস্ট পাম্প কাজ করে, তা হাতকলমে দেখাতেও বলা হয় তাঁকে। ওই নিরাপত্তা রক্ষীর তাঁকে আপত্তিকর নানা প্রশ্ন করেন বলেও অভিযোগ। গায়ত্রীর কথায়, ‘‘আমি হতবাক হয়ে যাই। এক সময় যা নির্দেশ দেওয়া হয়, তাই করতে থাকি। ওরা আর কী কী ভাবে আমায় বিপদে ফেলতে পারে তা বুঝতে পারছিলাম না।’’ ঘর থেকে বেরিয়ে সম্বিত ফেরে তাঁর। অপমানিত গায়ত্রী ভেঙে পড়েন কান্নায়।

এর পর ব্রেস্ট পাম্পটি পরীক্ষা করে সেটি ‘নিরাপদ’ মনে করে ছেড়ে দেওয়া হয় গায়ত্রীকে। ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাঁর পাসপোর্টটি। গায়ত্রী জানান, ওই মহিলা নিরাপত্তা রক্ষীর নাম জানতে চাইলে তা একটি কাগজের টুকরোয় লিখে দেন ওই রক্ষী। অপমানিত, আতঙ্কিত গায়ত্রী তাঁকে দুষলে নির্বিকার গলায় বলেন, ‘‘আপনি এ বার আসতে পারেন। সব মিটে গিয়েছে।’’

‘তথ্য গোপন রাখার’ যুক্তি দেখিয়ে বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি বিমানবন্দর পুলিশ। তবে বিমান বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কোনও মহিলা স্তন্য পান করান কিনা, নিরাপত্তার খাতিরে তার প্রমাণ চাওয়া অত্যন্ত হাস্যকর।

Frankfurt airport Told to prove lactation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy