বিতর্কের শেষে একসঙ্গে গলা মেলালেন দুই বাংলার শিল্পীরা। শুক্রবার ঢাকায় বাপি রায়চৌধুরীর তোলা ছবি।
অনেক গায়কই আজকাল পাড়ার জলসায় রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়ে থাকেন অন্তরা থেকে শুরু করে। শুক্রবার ঢাকায় দুই বাংলার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের ‘বৈঠকী’ আড্ডার শেষ লগ্নে ইন্দ্রনীল সেনকে যখন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, তিনিও ‘আমার সোনার বাংলা’ ধরলেন মাঝখান থেকে।
এক লাইন গাওয়ার পরেই শ্রোতাদের মধ্যে গুঞ্জন। বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিদের মধ্যে এক জন বেশ জোরেই বলে উঠলেন, “বন্ধ করুন... গান বন্ধ করুন!” ইন্দ্রনীল গান থামিয়ে দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানতে চাইলেন, কী ব্যাপার? ও-পার বাংলার আর এক বিশিষ্ট উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, “এটা আমাদের জাতীয় সঙ্গীত। আমাদের আবেগের বিষয়। তা যে ভাবে খুশি গাওয়া যায় না!” আর এক জন বললেন, “রবীন্দ্রনাথ যে ভাবে লিখেছেন, তাঁর গান দয়া করে সে ভাবেই গান। মাঝখান থেকে শুরু করবেন না।”
বিশিষ্ট জনদের কাছে ধমক খেয়ে তখন বেজায় বিড়ম্বনায় পড়েছেন গায়ক তথা নব্য তৃণমূল নেতা। পরিস্থিতি সামলাতে হাল ধরলেন মমতা। অতিথিদের বোঝালেন, ভুল হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পশ্চিমবঙ্গেও সমান প্রিয়। এর পর বাংলাদেশের গায়ক-গায়িকাদের উদ্দেশে মমতা বলেন, “আসুন, সবাই মিলে জাতীয় সঙ্গীত গাই। এ নিয়ে কোনও ভুল বোঝাবুঝি রাখবেন না।” সাবিনা ইয়াসমিন, রুনা লায়লা, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা-রা তখন উঠে আসেন মমতা ও ইন্দ্রনীলের পাশে। সকলে গলা মেলান জাতীয় সঙ্গীতে।
ইন্দ্রনীল অবশ্য সমালোচনা থেকে রেহাই পাননি। ও-পারের বিশিষ্টদের মতো তাঁর নিজের রাজ্যের অনেকেই বলেছেন, জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া ছেলেখেলা নয়। তার উপর ইন্দ্রনীল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যাওয়া প্রতিনিধিদলের অন্যতম সদস্য। মাঝখান থেকে সুর ধরে মোটেই ঠিক করেননি তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy