—প্রতীকী চিত্র।
এক মাসে মূল্যবৃদ্ধির হার চার শতাংশ বেড়েছে। ২৭.৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩১.৪ শতাংশ। সোমবার পাকিস্তান সরকারের অর্থমন্ত্রক প্রকাশিত রিপোর্টে অগস্ট এবং সেপ্টম্বরের তুলনামূলক পরিসংখ্যান পেশ করে এ কথা মেনে নেওয়া হয়েছে। ওই রিপোর্ট জানাচ্ছে, সেপ্টেম্বরে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার বিকিয়েছে ৩,০৭৯ পাক রুপিতে!
পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকার অর্থসঙ্কটের মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার (আইএমএফ) থেকে ৩০০ কোটি ডলার (প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা) ঋণের আবেদন জানিয়েছে। কিন্তু বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার বাড়ন্ত হওয়ায় ইসলামাবাদের পক্ষে সেই ঋণ পরিশোধ করা কার্যত অসম্ভব হবে বলে অর্থনীতিবিদদের একাংশ মনে করছেন। এই পরিস্থিতিতে এই রিপোর্ট আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাক সরকারকে বিপাকে ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরেই আর্থিক সঙ্কটে ভোগা পাকিস্তান গত বছর আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডারের কাছ থেকে ছ’শো কোটি ডলার ঋণ পেয়েছিল। ২০২২-এর অগস্টেও ইসলামাবাদকে মোটা অঙ্কের ঋণ দিয়েছিল আইএমএফ। কিন্তু আমেরিকার এই সংস্থা সম্প্রতি পাকিস্তানকে স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, তাদের দেওয়া শর্তাবলী পূরণ করতে না পারলে নতুন করে কোনও ঋণ দেওয়া হবে না। এই পরিস্থিতিতে পাক অর্থমন্ত্রকের রিপোর্টে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে আশার কোনও কথা শোনানো হয়নি। বংর পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, অক্টোবরে মূল্যবৃদ্ধির হার ২৯ থেকে ৩১ শতাংশের মধ্যে থাকতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy