Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Iran

ইরাকে মার্কিন সেনাঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইরানের

কাসেম হত্যার বদলা নিতে এলে ফল ভাল হবে না বলে দিন কয়েক আগেই তেহরানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ইরাকে মার্কিন বাহিনীকে নিশানা ইরানের। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।

ইরাকে মার্কিন বাহিনীকে নিশানা ইরানের। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
বাগদাদ শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২০ ০৯:৩৭
Share: Save:

কাসেম সোলেমানি হত্যা নিয়ে মার্কিন-ইরান সঙ্ঘাত চরমে পৌঁছল। এ বার ইরাকে মার্কিন সেনার ব্যবহৃত সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ইরান। মঙ্গলবার মধ্যরাতে আল আসাদ এবং ইরবিলে মার্কিন সেনা ও যৌথবাহিনীর দু’টি সেনাঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এতে কত জন প্রাণ হারিয়েছেন, ক্ষয়ক্ষতিই বা কত, তা এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট ভাবে জানা যায়নি। যদিও আত্মরক্ষার তাগিদেই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী জাভেদ জারিফ।

হামলার পরে সংবাদ মাধ্যমে জাভেদ বলেন, ‘‘ওই দুই সেনাঘাঁটি থেকে আমাদের নাগরিক এবং আধিকারিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছিল। তাই রাষ্ট্রপুঞ্জের ৫১ নম্বর ধারা মেনে আত্মরক্ষার তাগিদে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। আমরা যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করতে চাই না। কিন্তু যে কোনও রকম আগ্রাসন প্রতিহত করতে প্রস্তুত আমরা।’’

কাসেম হত্যার বদলা নিতে এলে ফল ভাল হবে না বলে দিন কয়েক আগেই তেহরানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরানের তরফে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর তাঁদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। তবে গোটা বিশ্বের মধ্যে মার্কিন বাহিনীই যে সবচেয়ে শক্তিশালী এবং‌ সুসজ্জিত ফের একবার তা মনে করিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হানার পর টুইটারে তিনি লেখেন, ‘‘সব ঠিক আছে। ইরাকে দু’টি সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র দেগেছে ইরান। হতাহত এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত সব ঠিকই আছে। মার্কিন বাহিনী গোটা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী এবং সুসজ্জিত। বুধবার এ নিয়ে বিবৃতি দেব আমি।’’

আরও পড়ুন: রাইসিনা সংলাপে থাকবে তেহরানও​

ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা মেনেছে পেন্টাগনও। তারা জানিয়েছে, ‘‘ইরাকে মার্কিন সেনা এবং যৌথ বাহিনীকে লক্ষ্য করে এক ডজনেরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। আল আসাদ এবং ইরবিলে দু’টি সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে সেগুলি ছোড়া হয়।’’ তবে সোলেমানি হত্যা নিয়ে চাপানউতোরের জেরে ইরানের তরফে এমন পদক্ষেপ করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত ছিল, তাই ইরাকে সমস্ত সেনাঘাঁটিতে আগে থেকেই হাই অ্যালার্ট জারি ছিল বলে জানিয়েছেন পেন্টাগনের এক মুখপাত্র।

গত শুক্রবার ভোররাতে ইরাকের মাটিতে মার্কিন ড্রোন হানায় সেনা জেনারেল কাসেম সোলেমানির মৃত্যু হয়। তাতে প্রাণ হারান ইরাকের পার্লামেন্টারি বাহিনী ‘হাশেদ অল-শাবি’-র ডেপুটি চিফ আবু মহদি অল-মুহান্দিস-ও। এতেই পরিস্থিতি তেতে উঠেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE