ওমান উপসাগর এবং ভারত মহাসাগরের উত্তরাংশে ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধের মহড়া দিল ইরানের নৌসেনা। সে দেশের সরকারি সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার ‘ইঘতেদার ১৪০৪’ নামে ওই নৌযুদ্ধের মহড়া হয়েছে।
দু’দিনে এই মহড়ায় ইরানের নৌবাহিনী উন্নত প্রযুক্তির বিভিন্ন নৌ ক্রুজ এবং জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। সেগুলি ভূপৃষ্ঠ ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুতে সফল ভাবে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে বলে তেহরানের দাবি। যুদ্ধ মহড়ায় অংশ নিয়েছিল ‘গাইডেড মিসাইল ক্রুজার’ জেনেভেহ এবং ‘ডেস্ট্রয়ার’ গোত্রের যুদ্ধজাহাজ সাবালান। তারা পরীক্ষা করেছে ‘নাসির’, ‘গাদির’, ‘কাদের’ নামের বিভিন্ন পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের।
আরও পড়ুন:
মহড়ায় ইরানের বায়ুসেনার বিমান এবং ‘ইলেকট্রনিক্স ওয়ারফেয়ার ইউনিট’ অংশ নিয়েছিল বলেও জানিয়েছে আয়াতোল্লা খামেনেইয়ের দেশ। সোমবার ইরানের ‘ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট’ মোহাম্মদ রেজা আরিফ যে কোনও মুহূর্তে আবার তেহরান-তেল আভিভ সংঘর্ষ শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন! বলেছিলেন, ‘‘ইজ়রায়েল ও ইরানের মধ্যে কোনও যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়নি। বর্তমানে যা চলছে, তা সাময়িক সংঘর্ষবিরতি মাত্র। আমরা এখন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।’’ তার পরেই সমুদ্র যুদ্ধের এই মহড়া হল। ইজ়রায়েল এবং আমেরিকার সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘর্ষের পরে এই প্রথম বার যুদ্ধের মহড়ার আয়োজন করল ইরান ফৌজ।
প্রসঙ্গত, গত ১২ জুন রাতে ইরানের বিভিন্ন শহর ও পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছিল ইজ়রায়েলি যুদ্ধবিমান। যার নাম ছিল ‘অপারেশন রাইজ়িং লায়ন’। তার পরেই ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইজ়রায়েলে। ১২ দিনের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ২৪ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতি হয়েছিল। তার আগেই অবশ্য ২১ জুন গভীর রাতে মার্কিন ‘স্টেল্থ’ বোমারু বিমান ‘বি-২ স্পিরিট’ ইরানের তিন পরমাণুকেন্দ্র— নাতান্জ়, ফোরডো এবং ইসফাহানে জিবিইউ-৫৭ (বাঙ্কার ব্লাস্টার সিরিজ়ের সবচেয়ে শক্তিশালী বোমা) ফেলেছিল। ওয়াশিংটনের অভিযোগ, ওই গবেষণা কেন্দ্রগুলিতে গোপনে পরমাণু বোমা বানানোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছিল ইরান।