ইরান-ইজ়রায়েল সংঘর্ষের মধ্যেই নাম না করে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিল ইরান।
হোয়াইট হাউসে পাকিস্তানি সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সঙ্গে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের পরেই ইরান সংঘর্ষে পাকিস্তানের সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে কূটনৈতিক শিবিরে জল্পনা শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এ দিন নয়াদিল্লিতে ইরানি দূতাবাসের উপপ্রধান জাভেদ হোসেইনি বলেন, ‘‘যুদ্ধে কোনও তৃতীয় পক্ষ জড়িয়ে পড়লে ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে।’’
চলতি সংঘর্ষে ভারতের অবস্থানে ইরান আদৌ হতাশ নয় বলে জানিয়েছেন হোসেইনি। তবে তাঁর বক্তব্য, ‘‘এগোতে গেলে আমাদের অবস্থান আরও ভাল ভাবে বুঝতে হবে। সেই সঙ্গে প্রয়োজন সহযোগিতার।’’ তাঁর মতে, কিছু পশ্চিমি দেশ একপেশে অবস্থান নিচ্ছে। আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থা (আইএইএ)-ও কাজ করছে ইজ়রায়েলের হয়ে। তাদের সমর্থন করছে জি৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি। ইরান পরমাণু অস্ত্রপ্রসার রোধে স্বাক্ষরকারী দেশ। কখনওই সে দেশ ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ’ করবে না। ইরানকে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করার হুমকি দিয়েছিলেন। ইরান থেকে ভারতীয়দের ফেরাতে ‘অপারেশন সিন্ধু’ শুরু করেছে দিল্লি। এই অভিযানে ইরান সব রকম সাহায্য করবে বলে জানিয়েছেন হোসেইনি।
অন্য দিকে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প-মুনির সাক্ষাৎ পাকিস্তানের পক্ষে ‘অস্বস্তিকর’ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় প্রতিরক্ষাসচিব রাজেশকুমার সিংহ। কারণ, পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফকে ওই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তাঁর কথায়, ‘‘এই বৈঠক আমার কাছে বিস্ময়কর। কোনও দেশের সামরিক প্রধান আমন্ত্রণ পেলেও যদি প্রধানমন্ত্রীকে সেখানে কোথাও দেখা না যায় তবে তা নিঃসন্দেহে সে দেশের পক্ষে অস্বস্তিকর। এ এক অদ্ভূত ঘটনা।’’
কূটনীতিকদের মতে, আগেও পাকিস্তানি সামরিক প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আমেরিকান প্রেসিডেন্টরা। কিন্তু সেই সামরিক শাসকেরা ইসলামাবাদে ক্ষমতা দখল করে রাজনৈতিক পদের অধিকারী হয়েছিলেন।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)