এ বার কি জামাতে ইসলামিকে নিষিদ্ধ করতে চলেছে বাংলাদেশ সরকার? সম্ভবত তা-ই। দেশের কয়েক জন শীর্ষ মন্ত্রীর মন্তব্যে এমনটাই ইঙ্গিত মিলেছে। গণতন্ত্র রক্ষার্থেই মৌলবাদী সংগঠন জামাতে ইসলামিকে নিষিদ্ধ করতে চাইছে বলে মন্তব্য করেছেন তাঁরা। প্রস্তাবটি মন্ত্রিপরিষদে পেশ করা হবে সূত্রের খবর।
জামাতে ইসলামিকে নিষিদ্ধ করার দাবি অবশ্য নতুন নয়। দীর্ঘদিন থেকেই শাসক দল আওয়ামি লিগ-সহ দেশের একাংশের এই দাবি ছিল। গত মার্চে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামাতের বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করে। জামাতের তিন শীর্ষ নেতার ষুদ্ধপরাধের ভিত্তিতে ওই রিপোর্ট তৈরি করেছিল আদালত। গত শনিবার একাত্তরের গণহত্যার দুই চক্রী বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী এবং জামাতে ইসলামির সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদকে ফাঁসির পর থেকে জামাতকে নিষিদ্ধ করার দাবি আরও জোরালো হতে থাকে।
এই সংক্রান্ত আরও খবর...
দেশের আইনমন্ত্রী আমিনুল হক-সহ বেশ কয়েক জন শীর্ষ মন্ত্রীর মতে বিরোধী দল বিনপি এবং জামাতের জোট ভাঙতে এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করাটা জরুরি। তবে নিষিদ্ধ হলেও জামাতকে দেশ থেকে নির্মূল করা যাবে কি না তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। প্রথমত, বিএনপি-র সঙ্গে জামাতে-র মিশে যাওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল। দ্বিতীয়ত, দলের নেতা-কর্মীরা মৌলবাদী কার্যকলাপ চালিয়ে যেতে আত্মগোপন করতে পারেন বলেও আশঙ্কা রয়েছে।
যদিও এই মতে বিপক্ষে গিয়ে শাসক দলের একাংশের মতে, বিরোধী দলের সঙ্গে মিশে গেলেও জামাতকে নির্মূল করতে নিষেধাজ্ঞার দাওয়াই হল সেরা উপায়।