ত্রিভুজের মতো এটাই কি সেই ভিনগ্রহীদের মহাকাশযান? ছবি সৌজন্যে: গুগল ম্যাপ।
আদতে কি সেটা ভিনগ্রহীদের পাঠানো কোনও মহাকাশযান? উড়ন্ত চাকি? অবিকল একটা ত্রিভুজের মতো তাকে দেখা গিয়েছে গুগল আর্থ ও গুগল ম্যাপে। মুখে মুখে তার নাম রটেছে, ‘হোয়াইট নাইট স্যাটেলাইট’। শুরু হয়েছে শোরগোল। ওই মহাকাশযানে চেপেই ভিনগ্রহীরা নেমেছেন নাকি পৃথিবীতে? নামলে, তাঁরা কি রয়েছেন আশপাশেই? খোঁজ-তল্লাশ চললেও ওই এলাকায় অবশ্য এখনও পর্যন্ত কোনও ভিনগ্রহীর হদিশ মেলেনি। তবে যাঁরা ‘উড়ন্ত চাকি’র তত্ত্বে বিশ্বাস করেন, তাঁরা বলছেন, হাজার হাজার বছর ধরে পৃথিবীকে চক্কর মারছে ভিনগ্রহীদের ওই মহাকাশযান।
দেখুন ভিনগ্রহীদের সেই মহাকাশযানের ভিডিও।
গুগল ম্যাপের যে জায়গায় ত্রিভুজের মতো ওই মহাকাশযানটিকে দেখানো হয়েছে, সেটা আদতে অস্ট্রেলিয়ায়। জায়গাটার অবস্থান ৩০ ডিগ্রি ৩০ মিনিট ৩৮.৪৪ সেকেন্ড দক্ষিণ থেকে ১১৫ ডিগ্রি ২২ মিনিট ৫৬.০৩ সেকেন্ড পূর্বে।
গুগল ম্যাপে দেখা গিয়েছে, ত্রিভুজের মতো ওই মহাকাশযানটির তিনটি হাতই ঝলমল করছে আলোয়। ২০০৭ সালেই প্রথম নজরে পড়ে সকলের। কীসের আলো সেটা? বলাবলি শুরু হয়, ওটা ভিনগ্রহীদের মহাকাশযানেরই (উড়ন্ত চাকি) আলো।
আরও পড়ুন- দিল্লিতে মহিলা বিচারককে অপহরণের চেষ্টা ট্যাক্সিচালকের
আরও পড়ুন- স্ত্রী ব্যক্তিগত সম্পত্তি নন, হাদিয়াকে জানাল সুপ্রিম কোর্ট
পরে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, গুগল ম্যাপের যে জায়গাটায় ত্রিভুজের মতো ওই বস্তুটিকে দেখা যাচ্ছে, সেটা আদতে সিডনি শহর থেকে বেশ কিছুটা দূরে থাকা অ্যালভার্নিয়া স্টুডিও। তা হলে কি স্টুডিওর আলোতেই ঝলমল করে ত্রিভুজটির তিনটি হাত? কিন্তু তা হলে তা ২৪ ঘণ্টা ঝলমল করবে কেন? কোনও স্টুডিও তো আর দিনভর রাতভর খোলা থাকে না! যেখানে বছরে বেশ কয়েক মাস ফিল্মের শুটিং হয়, হয় এডিটিং। বানানো হয় ভিডিও গেমস। মিউজিক অ্যালবামও।
২০১১ সালে নাসা একটি মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করেছিল। আর্কাইভে রাখা সেই উৎক্ষেপণের ফুটেজে সাদা রঙের একটি বস্তুকে দেখা যায়। যা দেখতে ত্রিভুজের মতো। পুরনো সেই ফুটেজ পরে ইউ টিউবে নাসার সরকারি সাইটে আপলোড করা হয়েছিল।
সেই ফুটেজ ব্যবহার করে গত ২৩ নভেম্বর ইউ টিউবে একটি ভিডিও আপলোড করেছে ‘ইউএফও টুডে’ নামে একটি সংস্থা। তাতে দেখা যাচ্ছে কী ভাবে পৃথিবীতে চক্কর মারছে ভিনগ্রহীদের সেই ‘মহাকাশযান’!
নাসা অবশ্য এই দাবি মানতে চায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy