Advertisement
E-Paper

মার্কিন নীতির নিন্দা, তৃতীয় ভিডিও প্রকাশ আইএসের

সাড়ে পাঁচ মিনিটের ভিডিও। আর তাতে সরাসরি আইএস-প্রসঙ্গে মার্কিন কৌশলের সমালোচনা করলেন ব্রিটিশ পণবন্দি জন ক্যান্টলি। তবে সম্ভবত ভিডিওতে ক্যান্টলি যা বলেছেন, তা তাঁর ব্যক্তিগত মত নয়। কারণ হাতে ধরা কাগজটি থেকে শেখানো বুলির মতো কথাগুলি আউড়ে গিয়েছেন তিনি। তবে ক্যান্টলিকে দেখে তা বোঝা সম্ভব নয়।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৪ ০২:৫২

সাড়ে পাঁচ মিনিটের ভিডিও। আর তাতে সরাসরি আইএস-প্রসঙ্গে মার্কিন কৌশলের সমালোচনা করলেন ব্রিটিশ পণবন্দি জন ক্যান্টলি। তবে সম্ভবত ভিডিওতে ক্যান্টলি যা বলেছেন, তা তাঁর ব্যক্তিগত মত নয়। কারণ হাতে ধরা কাগজটি থেকে শেখানো বুলির মতো কথাগুলি আউড়ে গিয়েছেন তিনি। তবে ক্যান্টলিকে দেখে তা বোঝা সম্ভব নয়। ক্যামেরার দিকে সোজা তাকিয়ে ওবামার নিন্দা করেছেন ওই ব্রিটিশ পণবন্দি। জানিয়েছেন, বিমানহানা চালিয়ে কিছু নির্দিষ্ট ঘাঁটি ধ্বংস করা গেলেও আইএসকে নিশ্চিহ্ন করা সম্ভব নয়।

দু’সপ্তাহ আগের এক ভিডিওতেও ক্যান্টলিকে দেখা গিয়েছিল। সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, আইএসের আসল কাহিনি বলতে আরও কিছু ভিডিও তিনি পাঠাবেন। সে প্রতিশ্রুতি রাখতেই মঙ্গলবারের এই ভিডিও। পরনে সেই একই রকম কমলা রঙের স্যুট। ঠিক যেমনটা গুয়ান্তানামোর জেলের কয়েদিরা পরে থাকেন। তবে ভিডিওটি ঠিক কোথায় তোলা হয়েছে, তা বোঝা যায়নি। শুধু যা দেখা গিয়েছে, তা হল কথা বলার সময় বার বার হাতের কাগজের দিকে তাকাচ্ছিলেন ক্যান্টলি। সে সময়ই এক বার বলেন, “আইএসের অধীন এলাকা মুক্ত করতে গেলে দরকার সুশৃঙ্খল ও প্রশিক্ষিত এমন এক সেনাবাহিনী, যাঁরা মাটিতে লড়াই চালাবেন। কিন্তু যে সেনাবাহিনী এখন লড়ছে, তারা লাগাতার হেরে চলেছে। আমার মনে হয় না অদূর ভবিষ্যতেও কোনও সুশৃঙ্খল বাহিনী তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।”

২০১২ সালের শেষ দিকে আইএসের হাতে অপহৃত হয়েছিলেন চিত্রসাংবাদিক ক্যান্টলি। তার পর সপ্তাহ দু’য়েক আগেই ভিডিওতে তাঁর দেখা মেলে। প্রায় কাছাকাছি সময়ে এ রকমই আরও কিছু ভিডিও পাঠিয়েছিল আইএস। তার দু’টিতে দেখা যায়, দুই মার্কিন সাংবাদিকের শিরশ্ছেদ করা হচ্ছে। তৃতীয়টি ছিল এক ব্রিটিশ পণবন্দির হত্যার ভিডিও। সঙ্গে অ্যালান হেনিং নামে আর এক ব্রিটিশ পণবন্দিকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। তবে ক্যান্টলির ক্ষেত্রে সে রকম কিছু হয়নি। প্রচারের কাজে তাঁকে ব্যবহার করেছে আইএস।

এ সব ভিডিওর পর আক্রমণের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে আমেরিকা। তার সঙ্গে যোগ দিয়েছে আরও ক’টি দেশ। কিন্তু তাতে সিরিয়ার কোবানি শহরের বাসিন্দারা মোটেও নিশ্চিন্ত নন। তাঁদের প্রায় ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে আইএস। এক বার যদি তুরস্ক সীমান্ত লাগোয়া এ শহর তাদের হাতে চলে যায়, সে ক্ষেত্রে এক বিপুল এলাকায় রাজত্ব তৈরি করবে তারা। ভেবেই শিউরে উঠছেন সেখানকার বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, আরও বেশি বিমানহানা দরকার। প্রয়োজন অস্ত্র ও সুশিক্ষিত সেনাবাহিনীর। যত টুকু যা আক্রমণ চালাচ্ছে জোটভুক্ত দেশগুলি, তা দিয়ে খুব কিছু কাজের কাজ হবে বলে মনে করেন না তাঁরা।

isis third video released us policy
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy