পুরোপুরি ভাবে পালমাইরার দখল নিল ইসলামিক স্টেটস (আইএস)। গত কালই সিরিয়ার এই ঐতিহাসিক শহরটির প্রায় এক তৃতীয়াংশ কব্জা করে ফেলেছিল তারা। আর আজ টুইটারে বিবৃতিতে জঙ্গি সংগঠনটি দাবি করেছে, গোটা শহর তো বটেই, কাছাকাছি সেনাঘাঁটিগুলিও এখন তাদের দখলে।
দিন পাঁচেক আগে ইরাকের রামাদি, আর তার পর সিরিয়ার পালমাইরা। আইএস-এর এই জোড়া সাফল্যে রীতিমতো চাপের মুখে বাগদাদ আর দামাস্কাস। শুধু তাই নয়, জঙ্গি সংগঠনটির বাড়বাড়ন্তে প্রশ্নের মুখে মার্কিন রণনীতিও। আকাশ পথে হামলা চালিয়ে আর কত দিন আইএস জঙ্গিদের ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব তা নিয়েই সন্দিহান অনেকে। সিরিয়ার মানবাধিকার সংস্থা জানাচ্ছে, পালমাইরার দখল নিয়ে সিরিয়ার অর্ধেকেরও বেশি অংশ হস্তগত করে ফেলল আইএস।
আইএস হানার আশঙ্কায় আগেভাগেই পালমাইরার জাদুঘর থেকে বিভিন্ন প্রত্ন নির্দশন দামাস্কাসে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল সিরিয়ার সরকার। সেগুলি এ যাত্রা রক্ষা পেয়ে গেলেও পালমাইরার অমূল্য স্থাপত্য আইএস-রোষের শিকার হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রত্নতত্ত্ববিদদের। একটি মানবাধিকার সংস্থার প্রধান রামি আব্দুল রহমান জানাচ্ছেন, পালমাইরার সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ১০০ জন সরকারপন্থীর মৃত্যু হয়েছে। অন্য একটি সূত্র বলছে, সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছে ৯ শিশুও।
পালমাইরার পর এ বার আরও পশ্চিমে এগোবে আইএস। ওই এলাকাতেই সিরিয়ার তেল ও গ্যাসের সঞ্চয়। ঐতিহাসিক এই শহরের ভৌগোলিক অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হমস এবং দামাস্কাসে হামলা চালানোর জন্য পালমাইরাকেই মূল কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করবে আইএস, এমনটাই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy