ইজ়রায়েলি হানায় নিহত হলেন হিজ়বুল্লার সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অফ স্টাফ হেতাম আলি তাবাতাবাই। ইজ়রায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলিতে এমনটাই দাবি করা হচ্ছে। রবিবার বিকেলে লেবাননের রাজধানী বেইরুটে হানা দেয় ইজ়রায়েলি বাহিনী। ওই অভিযানেই নিহত হয়েছেন হিজ়বুল্লার চিফ অফ স্টাফ। দাবি করা হয়, হিজ়বুল্লা প্রধান নঈম কাসেমের পরই এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্থানে ছিলেন তাবাতাবাই।
রবিবার বিকেলের ওই হামলায় আরও অন্তত চার জন নিহত হয়েছেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে। সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, জখম হয়েছেন আরও অন্তত ২৪ জন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজ়ায় ইজ়রায়েলি হামলা শুরুর পরেই দক্ষিণ লেবাননে সক্রিয় শিয়া জঙ্গিগোষ্ঠী হিজ়বুল্লা তেল আভিভের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করেছিল। তার পরে এক বছর ধরে দু’তরফের সংঘর্ষ চলে। তবে গত বছর আমেরিকার হস্তক্ষেপে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি হয়। গত কয়েক মাসে বেইরুটে এই ধরনের হামলা করতে দেখা যায়নি ইজ়রায়লকে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স অনুসারে, সাম্প্রতিক সময়ে লেবাননের রাজধানীতে এটিই প্রথম হানা ইজ়রায়েলি বাহিনীর।
আরও পড়ুন:
রবিবার বিকেলের এই হামলার বিষয়ে প্রতিবেদনটি প্রকাশের সময় পর্যন্ত হিজ়বুল্লা কোনও বিবৃতি দেয়নি। বস্তুত, হিজ়বুল্লার সামরিক বাহিনীর দায়িত্বে থাকা এই নেতাকে ২০১৬ সালেই ‘জঙ্গি’ বলে ঘোষণা করেছিল আমেরিকা। সিরিয়া এবং ইয়েমেনে হিজ়বুল্লার স্পেশাল ফোর্সকেও তাবাতাবাই নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে দাবি করে আমেরিকা। রবিবার সেই তাবাতাবাইকে হত্যা করতে লেবাননের রাজধানীতে হানা দেয় ইজ়রায়েলি বাহিনী। বেইরুটের দক্ষিণ শহরতলিতে ইজ়রায়েলের বোমায় নিহত হন হিজ়বুল্লার চিফ অফ স্টাফ।
হামলার কিছু ক্ষণ পরেই ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দফতর থেকে ঘোষণা করা হয়, “কিছু সময় আগে বেইরুটের প্রাণকেন্দ্রে হিজ়বুল্লার চিফ অফ স্টাফের উপর হামলা চালিয়েছে আইডিএফ। তিনি (তাবাতাবাই) হিজ়বুল্লার সামরিক এবং অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহের চেষ্টার নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।” বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়েছে, ইজ়রায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং ইজ়রায়েলি বাহিনী আইডিএফ-এর সুপারিশেই নেতানিয়াহু এই হামলার নির্দেশ দিয়েছেন।