Advertisement
E-Paper

শুধু বন্দিমুক্তি নয়, অস্ত্রসমর্পণও করতে হবে! গাজ়ায় যুদ্ধবিরতির জন্য হামাসের উপর শর্তের চাপ আরও বৃদ্ধি করল ইজ়রায়েল

বন্দিমুক্তির শর্তে রাজি হয়েছে হামাস। তবে অস্ত্রসমর্পণে রাজি নয় প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী। দ্বিতীয় দফার যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা তৈরি হতেই হামাসের উপর শর্তের চাপ বৃদ্ধি করছে ইজ়রায়েল।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৫ ২০:০৮
গাজ়ায় যুদ্ধবিরতির জন্য হামাসের উপর চাপ বৃদ্ধি করছে ইজ়রায়েল।

গাজ়ায় যুদ্ধবিরতির জন্য হামাসের উপর চাপ বৃদ্ধি করছে ইজ়রায়েল। — প্রতীকী চিত্র।

যুদ্ধবিরতির শর্ত মানার জন্য প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের উপর আরও চাপ বৃদ্ধি করতে চাইছেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। একই সঙ্গে পণবন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে চান তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কেউ গাজ়া ছাড়তে চাইলে, তাঁদের যেন সেই সুযোগ দেওয়া হয়। ট্রাম্পের সেই প্রস্তাবের বাস্তবায়নের জন্যও কাজ করতে চান তিনি। রবিবার নেতানিয়াহু বলেন, “হামাসের উপর চাপ বৃদ্ধি করার জন্য রাজি হয়েছে ইজ়রায়েলের মন্ত্রিসভা।” বস্তুত, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় দ্বিতীয় দফায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হয়েছে হামাস। এই আবহে নেতানিয়াহুর মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

দ্বিতীয় দফার সংঘর্ষবিরতির শর্ত হিসাবে, প্রতি সপ্তাহে পাঁচ জন করে পণবন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি হামাস। তবে ইজ়রায়েলের দাবি মতো অস্ত্রসমর্পণের প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে প্যালেস্টাইনপন্থী এই সশস্ত্র গোষ্ঠী। বস্তুত, দীর্ঘ দিন ধরে ইজ়রায়েল এবং হামাসের মধ্যে চলমান সংঘাত বন্ধ করতে মধ্যস্থতার কাজ করছে কাতার এবং মিশর। আমেরিকাও রয়েছে সেই তালিকায়। দিন কয়েক ধরে গাজ়ায় ইজ়রায়েলি হামলার ঘটনায় উদ্বিগ্ন মিশর এবং কাতার নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, মিশরের প্রস্তাবের জবাবে ইজ়রায়েলও পাল্টা প্রস্তাব দিয়েছে। ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দফতর থেকে জানানো হয়েছে নতুন প্রস্তাবের কথা। তবে কী প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।

রবিবারও ইজ়রায়েলি হানায় গাজ়ায় অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে কয়েক জন শিশুও রয়েছে। এই ২০ জনের মধ্যে ন’জনের মৃত্যু হয়েছে গাজ়া ভূখণ্ডের দক্ষিণ প্রান্তের শহর খান ইউনূসে। ওই শহরে একটি তাঁবুর মধ্যে আশ্রয় নিয়েছিলেন ন’জন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইজ়রায়েলি বাহিনীর হানায় তাঁদের প্রত্যেকেরই মৃত্যু হয়েছে।

গত ১৫ জানুয়ারি কাতার, আমেরিকা এবং মিশরের উদ্যোগে ইজ়রায়েল এবং হামাস সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে তা কার্যকর হয়। প্রথম দফার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ফুরিয়েছে ১ মার্চ। দ্বিতীয় দফার যুদ্ধবিরতি নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও আলোচনা হয়নি দুই পক্ষের। ইজ়রায়েল চাইছিল যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বৃদ্ধি করা হোক। তার জন্য হামাস গোষ্ঠীর উপর চাপ বৃদ্ধি করে যাচ্ছিল তারা। প্রায় দু’মাস শান্ত থাকার পর গত ১৮ মার্চ থেকে ফের রক্তাক্ত হতে শুরু করে গাজ়া। নতুন করে গাজ়া ভূখণ্ডে হামলা শুরু করে ইজ়রায়েলি বাহিনী। এ বার নতুন করে সংঘর্ষবিরতির পথ খোলার একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যদিও নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাসকে অস্ত্রসমর্পণ করতে হবে। তবেই তিনি হামাস নেতাদের গাজ়া ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেবেন।

Israel Hamas Conflict hamas Gaza Strip israel
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy