গত কাল গাজ়া-ইজ়রায়েল যুদ্ধবিরতি নিয়ে ফের আলোচনা শুরু হলেও এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধান মেলেনি। সোমবার প্যালেস্টাইনের দু’টি সূত্রের তরফে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানানো হয়েছিল যে, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে মতপার্থক্য থাকায় বৈঠকটি ফলপ্রসূ হয়নি। এরই মধ্যে শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য ওয়াশিংটনে গিয়েছেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সোমবার ভারতীয় সময় গভীর রাতে তিনি বৈঠক করবেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে। সেই বৈঠকের আগে আমেরিকার বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো এবং ট্রাম্পের বিশেষ উপদেষ্টা স্টিভ উইটকফের সঙ্গেও আলোচনায় বসার কথা নেতানিয়াহুর। ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে হোয়াইট হাউসে বিশেষ নৈশভোজের আয়োজন করেছেন ট্রাম্প।
দুই রাষ্ট্রনেতার বৈঠক সফল হলে আগামী দিনে যে ইজ়রায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে, তা নিয়ে আশাবাদী আন্তর্জাতিক মহল। ট্রাম্পও রবিবার দাবি করেন, “সামনের সপ্তাহে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির চূড়ান্ত রূপায়ণ হওয়ার ভালমতো সম্ভাবনা রয়েছে।” তবে শুধু ইজ়রায়েল-হামাস দ্বন্দ্বই নয়, নেতানিয়াহুর সঙ্গে তিনি যে সাম্প্রতিক ইরান সংঘাত নিয়েও কথা বলবেন, সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প।
এর আগেও ইজ়রায়েল-হামাসেরমধ্যে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হয়েছিল। সায় ছিল আমেরিকারও। তবে যুদ্ধের ২১ মাস হতে চললেও এখনও স্থায়ী সমাধান মেলেনি। যদিও এ দিন পরোক্ষ বৈঠকের সময়ে ফের ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির কথা উঠে আসে বলে খবর সূত্রের। এরই মধ্যে কাতার এবং মিশরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির আলোচনার আয়োজন করা হয় দোহায়। সাড়ে ৩ ঘণ্টা ধরে বৈঠকটি চলে। তবে সমাধান মেলেনি। আজ আমেরিকা যাওয়ার আগে নেতানিয়াহু সংবাদমাধ্যমকে জানান, তাঁর মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব হামাসের হাতে বন্দি ইজ়রায়েলিদের মুক্ত করা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)