Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Joe Biden

বাইডেন দুর্বল, যুদ্ধ বাধাতে পারেন, আশঙ্কা চিনের

উইঘুর মুসলিমদের মানবাধিকার লঙ্ঘন হোক বা বাণিজ্য শুল্ক অথবা করোনাভাইরাসের প্রকোপ সামাল দেওয়া, গত কয়েক বছরে একাধিক বিষয় আমেরিকা ও চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
বেজিং শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২০ ১৭:২৩
Share: Save:

পরাজয় স্বীকার করতে না চাইলেও হোয়াইট হাউস থেকে ট্রাম্পের বিদায় একরকম পাকা। কিন্তু জো বাইডেন এলেই যে দু’দেশের সম্পর্ক মূলস্রোতে ফিরবে, এই বিভ্রম কাটিয়ে ওঠা উচিত। আমেরিকায় ক্ষমতাবদল নিয়ে যখন গোটা বিশ্ব যখন উৎসুক, সেই সময় শি জিনপিংয়ের সরকারকে এমনই পরামর্শ দিলেন সে দেশের কূটনীতিবিদ তথা সরকারি উপদেষ্টা ঝেং ইয়ংনিয়ান। তাঁর মতে, ডেমোক্র্যাট বাইডেনের জমানায় আমেরিকা ও চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

শেনঝেন প্রদেশের অ্যাডভান্সড ইনস্টিটিউট অব গ্লোবাল কনটেম্পোরারি চায়না স্টাডিজের ডিন ঝেং। দীর্ঘমেয়াদি কূটনৈতিক কৌশলের রূপরেখা তৈরি করতে অগস্ট মাসে তাঁকে উপদেষ্টা নিয়োগ করেন চিনা প্রেসিডেন্ট জিনপিং। আমেরিকার রাজনৈতিক রদবদল এবং দুই দেশের সম্পর্কে তার কী প্রভাব পড়তে পারে, তা নিয়ে গুয়াংঝৌ-তে সম্প্রতি একটি আলোচনাসভায় যোগ দেন তিনি। সেখানেই বাইডেন সম্পর্কে জিনপিং সরকারকে সতর্ক করে দেন ঝেং।

ঝেং বলেন, ‘‘পরিস্থিতি আর আগের মতো নেই। ঠান্ডা যুদ্ধের ঘোর এখনও কাটেনি ওদের। রাতারাতি তা কাটবেও না। আমেরিকার সমাজ দ্বিধাবিভক্ত। বাইডেন কিছু করতে পারবেন বলে মনে হয় না আমার। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দুর্বল উনি। তাই অভ্যন্তরীণ সমস্যা মেটাতে না পারলে, কূটনৈতিক ক্ষেত্রেই নজর পড়বে ওঁর। সে ক্ষেত্রে চিনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারেন উনি। অনেকে হয়তো বলবেন, ট্রাম্প গণতন্ত্র এবং বাক স্বাধীনতার বিরোধী। বাইডেন নন। কিন্তু আমার মতে, ট্রাম্প যুদ্ধে আগ্রহী নন। কিন্তু ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট যে কোনও মুহূর্তে যুদ্ধ বাধিয়ে ফেলতে পারেন।’’

আরও পড়ুন: অ্যান্টিবডি-থেরাপিতে অনুমোদন আমেরিকার​

আরও পড়ুন: ভঙ্গুর ইগোর এক রাজনীতিক, অতিমারি-শাসক কম্পাসের কাঁটা এবং আমেরিকানদের জীবন​

উইঘুর মুসলিমদের মানবাধিকার লঙ্ঘন হোক বা বাণিজ্য শুল্ক অথবা করোনাভাইরাসের প্রকোপ সামাল দেওয়া, গত কয়েক বছরে একাধিক বিষয় আমেরিকা ও চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। হংকংয়ে চিনের আধিপত্য বিস্তার এবং লাদাখ সীমান্তে চিনা সেনার আগ্রাসন নিয়েও সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিতে দেখা গিয়েছে আমেরিকাকে। সাম্প্রতিক কালে মার্কিন কংগ্রেসে চিনের বিরুদ্ধে রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাট শিবির থেকে ৩০০-র বেশি বিল জমা পড়েছে। নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন চিনের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিতে দেখা যায় বাইডেনকেও। জিনপিংকে তিনি ‘গুন্ডা’ বলে উল্লেখ করেন। তাই ট্রাম্প হোয়াইট হাউস থেকে চলে গেলেও, আমেরিকা ও চিনের সম্পর্ক আদৌ স্বাভাবিক হবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান কূটনৈতিক মহল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Joe Biden Xi Jinping China US Donald Trump
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE