Advertisement
E-Paper

বিজেপির ‘বন্ধু’! বাদ বাইডেনের

এর আগের ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট বারাক ওমাবার আমলের দুই প্রশাসনিক কর্তাকেও ‘টিমে’ নেননি বাইডেন। সূত্রের খবর, এই দু’জনের সঙ্গে বিজেপির প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২১ ০৫:২৭
খুশি: আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপে ব্যস্ত কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। শনিবার। রয়টার্স।

খুশি: আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপে ব্যস্ত কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। শনিবার। রয়টার্স।

আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাঁর প্রশাসনে অন্তত ২০ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তবে সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েছে বেশ কয়েক জনের নাম, যাঁরা ভোটের আগে বাইডেন-শিবিরের প্রচারে যথেষ্ঠ কাজ করেছেন। হোয়াইট হাউসের অন্দরের খবর, এই ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সঙ্গে আরএসএস বা বিজেপির যোগ রয়েছে, সেই খবর জানতে পেরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নতুন প্রেসিডেন্ট।

যে দু’টি খুবই পরিচিত ভারতীয় বংশোদ্ভূত মুখ বাইডেনের তালিকা থেকে বাদ গিয়েছেন, তাঁরা হচ্ছেন সোনাল শাহ এবং অমিত জানি। এ ছাড়া, এর আগের ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট বারাক ওমাবার আমলের দুই প্রশাসনিক কর্তাকেও ‘টিমে’ নেননি বাইডেন। সূত্রের খবর, এই দু’জনের সঙ্গে বিজেপির প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে।

শপথ নিয়েই প্রথম দিনে ট্রাম্প জমানার এক গুচ্ছ নীতি পাল্টাতে সই-সাবুদ করেছিলেন বাইডেন। যার মধ্যে ছিল অভিবাসন সংক্রান্ত বেশ কিছু সিদ্ধান্ত। বুধবারই অভিবাসন সংক্রান্ত নতুন একটি বিল কংগ্রেসে পাঠিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। ‘ইউএস সিটিজ়েনশিপ অ্যাক্ট অব ২০২১’ নামের ওই বিলে ট্রাম্পের নেওয়া বেশ কিছু সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা হবে বলে হোয়াইট হাউস সূত্রের খবর। যেমন, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট দেশ-পিছু গ্রিন কার্ডধারীর সংখ্যা বেঁধে দিতে চেয়েছিলেন। সেই প্রস্তাব খারিজ করছেন বাইডেন। প্রেসিডেন্টের পাঠানো এই বিল কংগ্রেসের দুই কক্ষ, হাউস অব রিপ্রেজ়েন্টেটিভস ও সেনেটে পাশ হয়ে গেলেই তা আইনে রূপান্তরিত হবে এবং সেই আইন বিভিন্ন দেশ থেকে আমেরিকায় আসা অসংখ্য বৈধ ও দক্ষ অভিবাসীদের জন্য যথেষ্ট সুবিধাজনকই হবে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।

তাঁর জমানায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আভিবাসীদের জন্য কড়া আইন এনে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে খুবই বিপদে ফেলে দিয়েছিলেন। কারণ আমেরিকার এই সব সংস্থায় কাজ করেন মূলত দক্ষ ভারতীয় ও চিনা অভিবাসীরা। তাই নতুন প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তে খুশি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি। বাইডেনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন আমেরিকার বড় মাপের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির কর্ণধারেরা। যাঁদের মধ্যে অন্যতম গুগলের সিইও, ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুন্দর পিচাই এবং অ্যাপলের সিইও টিম কুক।

শুধু অভিবাসী নীতিই নয়, পশ্চিম এশিয়া সংক্রান্ত নীতি নিয়েও প্রথম থেকেই ভাবনা-চিন্তা শুরু করে দিয়েছেন নতুন প্রেসিডেন্ট। আজ আমেরিকান প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, শীঘ্রই তালিবানের সঙ্গে শান্তি চুক্তি পর্যালোচনা করবেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। আফগান সরকারের সঙ্গে তালিবান শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করার পরে এলাকায় হিংসা কমেছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে।

ট্রাম্পের আমলে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমেরিকার টানাপড়েন শুরু হয়। দায়িত্ব নিয়েই তাই বিদেশনীতি ও বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক মজবুত করতে চেষ্টা চালাচ্ছেন নতুন প্রেসিডেন্ট। আজ বাইডেন ফোন করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে। প্রতিবেশী দুই রাষ্ট্রনেতা অনেক ক্ষণ ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। তাঁদের আলোচনায় যেমন ছিল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক, তেমনই পরিবেশ, অতিমারি ইত্যাদি বিষয় নিয়েও কথা হয় তাঁদের। ট্রুডোর সঙ্গে কথার পরে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ফোন করেন আর এক প্রতিবেশী দেশ, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট লোপেজ় ওব্রাডোরকেও।

BJP RSS Joe Biden
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy