Advertisement
E-Paper

Joe Biden: রাশিয়া বনাম ইউক্রেন নিয়ে চিন্তায় বাইডেন

জ়েলেনস্কির দাবি, পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে সংঘর্ষ অবধারিত বলেই তাঁর মনে হচ্ছে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২১ ০৭:১৯
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

রাশিয়া যুদ্ধ ঘোষণা করলে পাল্টা প্রহারের জন্য তৈরি ইউক্রেনও— তাঁদের সীমান্তে রুশ সেনা মোতায়েন ঘিরে তৈরি হওয়া উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে এমনটাই জানালেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জ়েলেনস্কি। সীমান্ত এলাকায় রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বাড়তে থাকা টহল কপালে ভাঁজ ফেলেছে পশ্চিমি দেশগুলিরও। উত্তেজনার পরিস্থিতি এড়াতে রাশিয়া বা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিনি কথা বলতে পারেন বলে এ দিন ইঙ্গিত দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ দিকে জ়েলেনস্কির দাবি, রাশিয়ার যদি সত্যি ইউক্রেনের উপর হামলার কোনও অভিসন্ধি না থাকে, তা হলে তা নিয়ে যেন প্রকাশ্যে মুখ খোলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

জ়েলেনস্কির দাবি, পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে সংঘর্ষ অবধারিত বলেই তাঁর মনে হচ্ছে। তবে রাশিয়ার সামরিক শক্তির রক্তচক্ষুকে যে তাঁরা ভয় করেন না, তা-ও বার বার তুলে ধরেছেন তিনি। জ়েলেনস্কির হুঙ্কার, ‘‘মস্কো যদি সীমান্তের এ পারে সেনা ঢোকায় তা হলে কিয়েভের শক্তিশালী বাহিনী তাদের মোকাবিলার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তত।’’ সম্প্রতি ইউক্রেনের গোয়েন্দা দফতরের প্রধান কিরিলো বুদানভ জানিয়েছিলেন, ইউক্রেন সীমান্তে ইতিমধ্যেই কমপক্ষে ৯২ হাজার রুশ সেনা ঘাঁটি গেড়েছে। জানুয়ারি বা খুব বেশি হলে ফেব্রুয়ারিতেই তারা ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে। তিনি আরও দাবি করেছেন, মাটিতে শুধু নয়, আকাশপথেও হানা দিতে পারে রুশ বাহিনী।ইউক্রেন-রাশিয়ার এই টানাপড়েন নিয়ে চিন্তায় আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলিও। নেটোর প্রধান জেন্স স্টোলেনবার্গের সতর্কবাণী, ‘‘ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পেশিশক্তির প্রদর্শন করলে রাশিয়াকে তার দাম দিতে হবে, পরিণতি মোকাবিলার জন্য তৈরি থাকতে হবে।’’ আগামী সপ্তাহে লাটভিয়ার রাজধানী রিগায় নেটো অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন স্টোলেনবার্গ।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন তো বটেই, রাশিয়ার এই অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আমেরিকার ইউরেশিয়ান অ্যাফেয়ার্স-এর অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি ক্যারেন ডনফ্রায়েডও। তিনি বলেন, ‘‘রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করুক তা মেনে নেবে না ওয়াশিংটন।’’ একই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘সব দিকই খোলা রাখা হয়েছে। এখন আমরা যেটা করছি তা হল সীমান্ত অঞ্চলটির উপর পুঙ্খানুপুঙ্খ নজরদারি চালাচ্ছি। পাশাপাশি রাশিয়াকে কী ভাবে রোখা যায় তা নিয়ে আমাদের সহযোগীদের সঙ্গেও আলোচনা চলছে।’’ ইউক্রেনের ‘আঞ্চলিক নিরাপত্তা’ রক্ষার পক্ষ নিয়ে মুখ খুলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং পোলান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাটিয়াস মোরাউইকিও। যদিও সামরিক উপদ্রবের যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে মস্কোর দাবি, ওয়াশিংটন ইচ্ছে করে এ ধরনের উত্তেজনার জল্পনা বাড়াচ্ছে।

Joe Biden Ukraine Russia
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy