প্রাক্তন যুবরাজ হামজ়া। ছবি: সংগৃহীত।
জর্ডনের রাজা আবদুল্লাকে ক্ষমতাচ্যুত করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। রাজার সৎ ভাই যুবরাজ হামজ়ার এই চক্রান্ত দেশের ‘নিরাপত্তা এবং স্থিতি’ নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিয়েছে, এই মর্মে তাঁকে আগেই সতর্ক করেছে সেনা। গৃহবন্দি করা হয়েছে তাঁকে। এরই মাঝে মঙ্গলবার হামজ়াকে নিয়ে সংবাদমাধ্যম বা সোশ্যল মিডিয়ায় কোনও তথ্য, খবর লেখালেখির উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা চাপাল জর্ডন।
অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাজাকে সরিয়ে দেওয়ার এক গভীর চক্রান্তের মাথা ছিলেন প্রাক্তন যুবরাজ হামজ়া। রবিবার এমনই দাবি করা হয় সরকারের পক্ষ থেকে। যদিও এই ঘোষণার আগেই তাঁকে প্রশাসন গৃহবন্দি করেছে বলে রবিবার দু’টি ভিডিয়ো প্রকাশ করেন হামজ়া।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে যুবরাজ পদ থেকে হামজ়াকে সরিয়ে দেন রাজা আবদুল্লা। সরকার পক্ষের দাবি, এই কারণেই হয়তো বিদেশি শক্তিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাজাকে সরানোর চক্রান্ত করছিলেন হামজ়া। এই কারণে অনেক দিন ধরেই হামজ়া তদন্তকারীদের নজরে রয়েছেন। গত কয়েক সপ্তাহে বেশ কিছু তফসিলি সম্প্রদায়ের জমায়েতে যোগ দিতে দেখা গিয়েছে হামজ়াকে। প্রশাসনের বক্তব্য, এই সম্প্রদায়গুলি রাজার বিরুদ্ধে বহু বার অবস্থান নিয়েছে। তাদের প্রশ্ন, পদ হারানো যুবরাজ যে নিজের মাটি শক্ত করতে এই সম্প্রদায়গুলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাজাকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে না, তার প্রমাণ কী?
তেমন কোনও ষড়যন্ত্রে যুক্ত নন বলে দাবি হামজ়ার। সোমবার রাজ পরিবারের সদস্যদের মধ্যস্থতায় হামজ়া জানান যে তিনি একমাত্র রাজা আবদুল্লারই অনুগত। তাতে কর্ণপাত করছে না সরকার। ঝঁুকি নিতে চাইছেন না রাজা আবদুল্লাও। যার জেরে তদন্ত সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য সম্প্রচারের আড়ালেই রাখার এই সিদ্ধান্ত। ব্যক্তি হামজ়াকেও সম্পূর্ণ প্রচারের আলো থেকে দূরে রাখতে চাইছেন।
জর্ডনের জাতীয় সংবাদমাধ্যমের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে এই তদন্তের ভার। এই তদন্ত চলাকালীন হামজ়া এবং রাজপরিবারের গোপনীয়তা রক্ষার স্বার্থেই প্রচার মাধ্যমে কোনও তথ্য না-প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy