বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বৃহস্পতিবার রাতেই নিয়ে যাওয়া হতে পারে লন্ডনে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা তাঁর শারীরিক পরীক্ষার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। খালেদাকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করছে কাতার। সকালেই বিএনপি-কে তারা এ কথা জানিয়েছে বলে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।
গত ১২ দিন ধরে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞেরা তাঁর চিকিৎসার দায়িত্বে রয়েছেন। ৮০ বছর বয়সি নেত্রীকে নিয়ে উদ্বিগ্ন বিএনপি সমর্থকেরা। হাসপাতালের বাইরে প্রায় প্রতি দিনই ভিড় করছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, খালেদার হৃদ্যন্ত্রে এখনও জটিলতা রয়েছে। ফুসফুসের সংক্রমণের কারণে যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল, তার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে বাকি শারীরিক পরিস্থিতি এখনও অপরিবর্তিত। তাই দ্রুত তাঁর উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন:
খালেদার পুত্র তথা বিএনপি-র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘ দিন ধরে লন্ডনে রয়েছেন। কিছু দিন আগে তিনি জানান, মায়ের শারীরিক অসুস্থতায় তিনি উদ্বিগ্ন। কিন্তু চাইলেও রাজনৈতিক জটিলতার কারণে বাংলাদেশে ফিরতে পারছেন না। আপাতত তাঁর কাছেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে খালেদাকে। ঢাকার হাসপাতালের চিকিৎসক জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, সব ঠিক থাকলে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পর বা শুক্রবার ভোরে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেবেন খালেদা।
শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল খালেদাকে। তার পর নিউমোনিয়া ধরা পড়়ে। এ ছাড়া, আগে থেকেই তাঁর কিডনি, আর্থ্রাইটিস এবং ডায়াবেটিসের সমস্যা ছিল। ফলে পরিস্থিতি ক্রমে জটিল হয়ে ওঠে। একটি রোগের চিকিৎসা করতে গেলে অন্য রোগের উপর তার বিরূপ প্রভাব পড়ছিল। দীর্ঘ দিন সিসিইউ-তে খালেদার চিকিৎসা চলেছে। তাঁকে যে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন, সে বিষয়ে আগেই চিকিৎসকেরা একমত হয়েছিলেন। তাই বিদেশযাত্রার জন্য খালেদাকে প্রস্তুত করা হচ্ছিল। আপাতত সেই পরিস্থিতি এসেছে বলেই জানা যাচ্ছে। বুধবার রাতে চিন থেকে চার জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এসে খালেদার মেডিক্যাল বোর্ডে যোগ দিয়েছেন। আমেরিকা থেকেও চিকিৎসক এসেছেন।