Advertisement
E-Paper

ফেব্রুয়ারির শেষে ফের কিম-ট্রাম্প!

সিঙ্গাপুরে গত বছর জুনে কিমের সঙ্গে প্রথম বৈঠক করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:২৪
কিম জং উনের সঙ্গে দ্বিতীয় বার বৈঠকে বসবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এপি।

কিম জং উনের সঙ্গে দ্বিতীয় বার বৈঠকে বসবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এপি।

দিনক্ষণ, স্থান এখনও স্থির হয়নি। তবে মোটামুটি ফেব্রুয়ারির শেষে উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট দ্বিতীয় বার বৈঠকে বসবেন বলে কাল জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। যা নিয়ে বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না।

তাঁদের দাবি, ‘‘প্রথম বৈঠকে তো নিজেদের ঢাক পেটানো ছাড়া আর কিছুই হয়নি। তা হলে আবার কেন?’’ কার্যত এর জবাব দেওয়ার মতো করেই হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব সারা স্যান্ডার্স বললেন, ‘‘পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আমরা উত্তর কোরিয়ার উপর চাপ বজায় রেখেছি। নিষেধাজ্ঞাও বহাল আছে। আশা করব, প্রথমটির মতো এই বৈঠকও ফলপ্রসূ হবে।’’

সিঙ্গাপুরে গত বছর জুনে কিমের সঙ্গে প্রথম বৈঠক করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ‘ঐতিহাসিক’ বৈঠক শেষে দুই রাষ্ট্রনেতা যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, বৈঠক ফলপ্রসূ। ধাপে-ধাপে পরমাণু অস্ত্র ছাড়তে রাজি উত্তর কোরিয়া। কিন্তু এর সময়সীমা কী, তা নিয়ে কোনও সদুত্তর মেলেনি। বরং অভিযোগ, বৈঠকের উল্টো পথে হেঁটে এর মধ্যে একাধিক বার বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে গিয়েছে পিয়ংইয়্যাং। পরমাণু কেন্দ্রগুলিও রয়ে গিয়েছে বহাল তবিয়তে। বৃহস্পতিবার তাই কিমের ‘ডান হাত’ তথা উত্তর কোরিয়ার প্রাক্তন গোয়েন্দাপ্রধান কিম ইয়ং-চল ওয়াশিংটন ডিসি-তে পা রাখা মাত্রই সুর চড়াতে থাকেন বিরোধীরা। প্রথমে শোনা গিয়েছিল, তিনি মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়োর সঙ্গে দেখা করে ট্রাম্পকে লেখা কিমের চিঠি তুলে দেবেন। কিন্তু পম্পেয়োর সঙ্গে সাক্ষাতের পরে তিনি ট্রাম্পের সঙ্গেও দেখা করেন।

হোয়াইট হাউসের দাবি, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ আর দুই রাষ্ট্রনেতার দ্বিতীয় বৈঠক নিয়ে পাক্কা দেড় ঘণ্টা কথা হয় দু’জনের। সিঙ্গাপুরের বৈঠক শেষে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘‘উত্তর কোরিয়াকে নিয়ে আর আমাদের ভয়ের কিছু নেই।’’ যদিও বৃহস্পতিবার কিমের প্রতিনিধিদল আসার কয়েক ঘণ্টা আগেই নতুন একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থার উদ্বোধন করেন প্রেসিডেন্ট। জানান, এটি কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি বজায় রাখতেই!

অর্থাৎ, উত্তর কোরিয়া যে শোধরায়নি, ট্রাম্প প্রশাসনের হাবেভাবেই তা স্পষ্ট বলে মনে করছেন মার্কিন কূটনীতিকদের একাংশ। তাঁদের দাবি, সিঙ্গাপুরের বৈঠকে কিছু না করেই আন্তর্জাতিক স্তরে ‘সমীহ’ আদায় করে নিয়েছেন কিম। আমেরিকা যথেষ্ট কড়া মনোভাব দেখায়নি বলেই, পিয়ংইয়্যাং এখনও বেপরোয়া বলে অনেকের মত।

শোনা যাচ্ছে, ব্যাঙ্কক কিংবা আবার সিঙ্গাপুরেই বৈঠক হতে পারে কিম-ট্রাম্পের। আগেই সেটিকে ‘নিষ্ফলা’ তকমা দিয়ে মার্কিন কূটনীতিকদের একাংশের কটাক্ষ— ‘আরও একটা রিয়্যালিটি টিভি শো আসছে ফেব্রুয়ারিতে’।

উত্তর কোরিয়ার অবশ্য দাবি, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে কিম নিজে রাজি বলেই ফের তারা আমেরিকার সঙ্গে বৈঠকের তোড়তোড় করছে। নিজেরাই আগ বাড়িয়ে এসে দেখা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। তবে প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে কিম ফের নতুন করে আমেরিকার সঙ্গে দর কষাকষি করতে চাইছেন বলেও মনে করছে মার্কিন কূটনীতিকদের একাংশ।

Donald Trump Kim Jong-un
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy