Advertisement
E-Paper

তৃতীয় সাক্ষাতে কিম জড়িয়ে ধরলেন মুনকে

কোরীয় শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে তিন দিনের সফরে উত্তর কোরিয়া পৌঁছলেন দক্ষিণের প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন। আজ তাঁকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে গিয়েছিলেন খাস উত্তর কোরিয়ার চেয়ারম্যান কিম জং উন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী রি সোল জু-ও। বিমান থেকে সস্ত্রীক দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট নামার পরেই তাঁকে আলিঙ্গন করেন কিম।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:০২
কাছাকাছি: পিয়ংইয়্যাংয়ে পৌঁছে কিমের সঙ্গে মুন। ছবি: এএফপি।

কাছাকাছি: পিয়ংইয়্যাংয়ে পৌঁছে কিমের সঙ্গে মুন। ছবি: এএফপি।

কোরীয় শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে তিন দিনের সফরে উত্তর কোরিয়া পৌঁছলেন দক্ষিণের প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন। আজ তাঁকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে গিয়েছিলেন খাস উত্তর কোরিয়ার চেয়ারম্যান কিম জং উন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী রি সোল জু-ও। বিমান থেকে সস্ত্রীক দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট নামার পরেই তাঁকে আলিঙ্গন করেন কিম। দুই নেতার স্ত্রীও একে অপরের সঙ্গে করমর্দন করেন। এক দিকে প্রায় এক যুগ পরে দক্ষিণ কোরিয়ার কোনও প্রেসিডেন্ট পিয়ংইয়্যাংয়ের মাটিতে পা রাখলেন। অন্য দিকে, উত্তর কোরিয়ার দায়িত্বভার হাতে নেওয়ার পরে এই প্রথম কোনও দেশের শীর্ষ নেতাকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে চলে গেলেন স্বয়ং কিম।

চলতি বছরে এই নিয়ে মোট তিন বার দেখা হল উত্তর আর দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষস্থানীয় দুই নেতার। কিম আর তাঁর স্ত্রীর পাশাপাশি মুনকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন উত্তর কোরিয়ার সাধারণ মানুষও। ফুল আর জাতীয় পতাকা হাতে বিমানবন্দরের বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁরা। দু’দেশের উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি দলের করমর্দন পর্ব শেষ হওয়ার পরে মুন-কে গার্ড অব অনার দেয় উত্তর কোরিয়ার সেনা। বিমানবন্দরে এই অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান চলে প্রায় পনেরো মিনিট। তার পরেই হুড খোলা গাড়ি চড়ে কিম এবং মুন হাত নাড়তে নাড়তে বিমানবন্দর ছেড়ে রওনা দেন।

উত্তর কোরিয়া সফরে যাওয়ার আগেই টুইটারে মুন জানিয়েছিলেন, তাঁর এই সফরের মূল উদ্দেশ্য হল, দু’দেশের মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়াকে আরও জোরদার করা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কিমের বৈঠকে যে যে বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়, বিশেষ করে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের অগ্রগতি— তা নিয়েও আলোচনা করা। তবে মুন মুখে শান্তি স্থাপনের কথা বললেও সে নিয়ে এ বারও কোনও চূড়ান্ত চুক্তি হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। দুই কোরিয়ার যুদ্ধ দীর্ঘ দিন আগেই শেষ হলেও কোনও পক্ষই এখনও পর্যন্ত স্থায়ী শান্তি চুক্তিতে সই করেনি। এ বারের সফরে মুন এক ধাপ এগোতে পারেন কি না, নজর থাকবে গোটা বিশ্বের। নিজের সঙ্গে বেশ কিছু শিল্পপতিকেও সঙ্গে এনেছেন মুন। তাঁর উদ্দেশ্য, শিল্প বিনিয়োগের মাধ্যমে উত্তরের আর্থিক উন্নয়নে সাহায্যের হাত বাড়ানো।

তবে কিমের ঘোষিত পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নীতি নিয়ে আমেরিকার এখনও বিস্তর সন্দেহ রয়েছে। সে দেশের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা একাধিক বার সে কথা প্রকাশ্যে জানিয়েওছেন। প্রেসি়ডেন্ট ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থেকে শুরু করে মার্কিন বিদেশসচিব সকলেরই বক্তব্য, এখনও তলে তলে পরমাণু পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে পিয়ংইয়্যাং। কোরীয় রাজনীতির বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার বন্ধু দেশ হিসেবে মুনের মূল লক্ষ্যই হতে চলেছে কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমে কিমকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের রাস্তায় হাঁটানো।

Kim Jong Un Moon Jae-in North Korea South Korea কিম জং উন মুন জে-ইন
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy