গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতের রায়ের পর কুলভূষণ যাদব নিয়ে ভারত তার আগের অবস্থানেই অটল থাকল। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বৃহস্পতিবার সংসদের দুই কক্ষ- লোকসভা ও রাজ্যসভায় ফের জানালেন, ভারতীয় নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত অফিসার কুলভূষণ যাদবকে ‘অবৈধ ভাবে’ গ্রেফতার করেছে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী। পাক সামরিক আদালত যে কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে, সেটাও একতরফা। ইসলামাবাদের কাছে দাবি জানালেন কুলভূষণের মুক্তি ও ভারতের হাতে প্রত্যর্পণ।
আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতের রায়ের প্রশংসা করে এ দিনই তাঁর টুইটে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান লেখেন, ‘‘আন্তর্জাতিক আদালত বেকসুর খালাস ঘোষণা করেনি, ছেড়ে দিতে বা ভারতের হাতে তুলে দিতেও বলেনি কুলভূষণ যাদবকে। এই রায়ের প্রশংসা করছি।’’
তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই এ দিন লোকসভায় বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘আমরা ফের পাকিস্তানের কাছে কুলভূষণ যাদবের মুক্তি ও ভারতের হাতে প্রত্যর্পণের দাবি জানাচ্ছি। ফের বলছি, অবৈধ ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছিল কুলভূষণকে। ওই ঘটনা যে শুধুই ভারতকে অবাক করেছে, তাই নয়; যাঁরা আইনের শাসনে বিশ্বাস করেন, তাঁদের সকলেই বিস্মিত হয়েছেন।’’
কুলভূষণ যাদব সম্পর্কে এই তথ্যগুলি জানেন তো?
বুধবার আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতও পাকিস্তানকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পুনর্বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছে। কুলভূষণের সঙ্গে যাতে পাকিস্তানে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিসাররা যোগাযোগ করতে পারেন, যোগাযোগ রেখে চলতে পারেন, ইসলামাবাদকে সেটাও সুনিশ্চিত করতে বলেছে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালত।
আরও পড়ুন- ‘কুলভূষণকে ভারতের হাতে তুলে দিতে বলেনি আন্তর্জাতিক আদালত’, টুইটে ইমরান
আরও পড়ুন- পাকিস্তানকে প্রাণদণ্ড পুনর্বিবেচনা করতে বলল আন্তর্জাতিক আদালত
কুলভূষণের নিরাপত্তার দাবিতে ভারত যে লড়াই চালিয়ে যাবে, সে কথা জানিয়ে এ দিন বিদেশমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘কঠিন পরিস্থিতিতে লড়াই করার ব্যাপারে যে সাহস দেখিয়েছে কুলভূষণের পরিবার, তা-ও দৃষ্টান্তমূলক। আমি এটা খুব জোরের সঙ্গে বলতে চাই যে, কুলভূষণের নিরাপত্তা, পাকিস্তানের জেলে তাঁর ভাল থাকা ও তাঁকে ভারতে ফিরিয়ে আনতে যথাসাধ্য চেষ্টা জারি রাখবে।’’
সংসদের দুই কক্ষে তাঁর এ দিনের বক্তব্যে জয়শঙ্কর এও বলেছেন, কুলভূষণকে গ্রেফতার করে ও তাঁর সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিসারদের দেখা করার সুযোগ না দিয়ে পাকিস্তান যে ভিয়েনা চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে, বুধবার রায় দিতে গিয়ে ইসলামাবাদকে সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy