প্রতিবাদ: বুধবার হংকংয়ে আইনজীবীদের মিছিল। এপি
শান্তি ফেরার কোনও পরিস্থিতি নেই। আজ তারই মধ্যে শান্তিপূর্ণ ভাবে পথে নামলেন হংকংয়ের আইনজীবীরা। দেশের বিচারবিভাগের উপরে চাপ তৈরি করতেই তাঁদের এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
চড়া রোদ্দুরের মধ্যে আজ অন্তত তিন হাজার আইনজীবী হংকংয়ের বাণিজ্যকেন্দ্রে জমায়েত করেন। রাজনৈতিক বন্দিদের বিচার নিয়ে তাঁরা বিভাগীয় প্রতিনিধি টেরেসা চেংয়ের কাছে জবাবদিহি চেয়েছেন। কোনও কারণ ব্যাখ্যা না করে হাজার হাজার লোককে প্রতিবাদের ‘অপরাধে’ থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কেন, জানতে চেয়েছেন তাঁরা। এ ভাবে এর আগে বিচার বিভাগের কর্মীদের প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। আইনজীবীদের অনেকেই বলছেন, ‘‘বিচারব্যবস্থায় মানুষের আস্থা ফেরাতে চাই। তাই আমরা আজ এখানে এসেছি।’’ আর এক জন বলেন, ‘‘আমরা শুধু বিচার চাই। আমাদের তরতাজা যুব সম্প্রদায় ভুল বিচারে সাজা পাক আর গুন্ডারা বেঁচে যাক, এটা আমরা হতে দিতে পারি না।’’
হংকংয়ের গণ-প্রতিবাদ ন’সপ্তাহে পড়েছে। গত কাল পুলিশ জানিয়েছিল, প্রতিবাদী জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের ৮০০ গ্রেনেড ছুড়তে হয়েছে তাদের। আজ থেকে অস্ট্রেলিয়া তার নাগরিকদের হংকং সফরে যেতে নিষেধ করেছে। এর আগে আয়রাল্যান্ড, ব্রিটেন এবং জাপানও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দু’দিন আগেই বিক্ষোভকারীদের প্রতি কড়া বার্তা দিয়েছেন হংকংয়ের প্রশাসনিক প্রধান ক্যারি ল্যাম। গত দু’সপ্তাহে এই প্রথম মুখ খুলেছেন তিনি। জানিয়েছেন, পুলিশকে কড়া হাতে বিক্ষোভ দমনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁর পদত্যাগের যে প্রশ্ন নেই, সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন ল্যাম। তাঁর পদত্যাগের দাবিতেই কার্যত বিক্ষোভে উত্তাল হংকং। সেই সঙ্গে বিতর্কিত প্রত্যর্পণ বিল পুরোপুরি প্রত্যাহারের দাবিও তুলেছেন তাঁরা।
মাসখানেক আগে চিনের অনুগত ল্যাম ওই বিল আনার প্রস্তাব দেন পার্লামেন্টে। যা আইন হলে বিচারের প্রয়োজনে কোনও অপরাধীকে হংকং থেকে চিনে প্রত্যর্পণ করতে আর বাধা থাকবে না। প্রবল প্রতিবাদে আপাতত সেই বিল আনা স্থগিত রেখেছেন ল্যাম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy