জনরোষে উত্তাল বেইরুট।—ছবি এএফপি।
বেইরুটের ভয়াবহ বিস্ফোরণ এবং তাকে ঘিরে জমা হওয়া জনরোষের মুখে পদত্যাগ করতে হল লেবানন সরকারকে। প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব সোমবার সন্ধেবেলায় জাতীয় টেলিভিশনে তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
বেইরুট বিস্ফোরণের নেপথ্যে দুর্নীতি এবং গাফিলতির অভিযোগ তুলে পথে নেমেছিলেন লেবাননের মানুষ। কী ভাবে বন্দরে অসুরক্ষিত ভাবে ২৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট দীর্ঘদিন ধরে জমা হয়ে থাকতে পারে, প্রশ্ন নাগরিকদের। পার্লামেন্টের বাইরে টানা তিন দিন ধরে চলছিল বিক্ষোভ। পুলিশের সঙ্গে বারবারই বেধে যাচ্ছিল খণ্ডযুদ্ধ। কখনও পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ছিল জনতা, কখনও জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়ছিল পুলিশ। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা ঘেরাটোপ ভেঙে পার্লামেন্টের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এর জেরে পার্লামেন্ট স্কোয়ারের প্রবেশপথের কাছে আগুন ধরে যায়। বিক্ষোভকারীরা আবাসন এবং পর্যটন মন্ত্রকের ভিতরেও ঢুকে পড়েন। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই এ দিন ইস্তফা দেন লেবাননের দু’জন মন্ত্রী। দেশের দুর্দশার জন্য আর্থিক মন্দা আর গত সপ্তাহের বিস্ফোরণের পিছনে ‘সরকারের ব্যর্থতা’কেই দায়ী করেন তাঁরা। ফলে চাপ ক্রমশ বাড়ছিল দিয়াবের উপরে। জাতির উদ্দেশে তাঁর বক্তৃতায় এ দিন তিনি বলেন, মানুষের ইচ্ছাকে মর্যাদা দিয়েই পদত্যাগ করছে তাঁর মন্ত্রিসভা। নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত না হওয়া পর্যন্ত দিয়াবকে কাজ চালিয়ে যেতে বলেছেন দেশের প্রেসিডেন্ট।
রাজনৈতিক টানাপড়েন অবশ্য বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে লেবাননে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে দীর্ঘ জনবিক্ষোভের পরেই এ বছরের গোড়ায় ক্ষমতায় এসেছিল দিয়াব সরকার। ক’মাসের মধ্যেই পতন হল তার। এ দিন দিয়াব নিজেও বলেন, এ দেশে দুর্নীতি এখনও রাষ্ট্রের চেয়েও বড় আকার নিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy