গুরুতর আহত হন এক স্থানীয় কাউন্সিলর।—ছবি এএফপি।
অশান্ত হংকংয়ে বাড়ছে আহতের সংখ্যা।
তাইকু শিন এলাকার একটি শপিং মলের সামনে বিক্ষোভকারীদের উপর ছুরি নিয়ে হামলা চালায় এক ব্যক্তি। তাকে বাধা দিয়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন এক স্থানীয় কাউন্সিলর। হামলাকারী তাঁর কান কেটে দেয়।
দাঙ্গা দমনকারী পুলিশ গত কালই জানিয়েছিল, গত দু’দিনের বিক্ষোভ ছিল সবচেয়ে হিংসাত্মক। বিক্ষোভকারীদের পাল্টা, কাল পুলিশের অত্যাচারে অনেক জখম হয়েছেন। আজ প্রশাসন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শুধু গত কালের সংঘর্ষেই ৩০ জন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। এক জনের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আবার এক যুবকের কথা জানিয়েছে, যিনি খুব উঁচু থেকে পড়ে কাল আহত হন। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে দাবি ওই দৈনিক। যদিও আহত যুবকের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
কাল পূর্ব হংকংয়ের তাইকু শিন এলাকার একটি শপিং মলের সামনে। এক দল বিক্ষোভাকারীর উপরে আচমকা ছুরি নিয়ে হামলা করে সাদা টি-শার্ট পরা এক ব্যক্তি। স্থানীয় এক কাউন্সিলর ওই হামলাকারীকে থামাতে গেলে ছুরি নিয়ে সে ওই কাউন্সিলরের কান কেটে দেয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, ওই কাউন্সিলের বাঁ কান থেকে করে রক্ত বেরোচ্ছে। এক জনের হাতে প্লাস্টিকে ভরা তাঁর কাটা কানের অংশ। ওই হামলাকারী চিন সরকারের সমর্থক বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। সে মান্দারিন ভাষায় কথা বলছিল বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। কাউন্সিলর ছাড়াও তার ছুরির হামলায় দুই মহিলা-সহ পাঁচ জন আহত হন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা ওই হামলাকারীকে বেধড়ক মারধর করেন। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানানো হয়নি।
আহত মহিলাদের মধ্যে এক জন জানালেন, প্রথমে তাঁর স্বামী এবং বোনের সঙ্গে বিতর্কে জড়ায় ওই ব্যক্তি। তার পর হঠাৎই ছুরি নিয়ে তাঁদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে সে। ধস্তাধস্তিতে অনেকে আহত হন। ওই কাউন্সিলর মধ্যস্থতা করতে এলে তাঁর কান কেটে নেয় হামলাকারী।
গত শনিবারই ওয়ান্টনে চিনা সরকারি সংবাদ সংস্থা জ়িনহুয়ার দফতরে হামলা চালান বিক্ষোভকারীরা। আজ তাদের উত্তর সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, ‘দফতরে হামলার মূল্য চোকাতে হবে বিক্ষোভকারীদের। সারা দুনিয়ার কাছে হংকংয়ের নবীন প্রজন্ম যে শান্তিপূর্ণ পরিবর্তনের বার্তা দিতে চাইছে, সেটা যে আদৌ শান্ত নয়, ওয়ান্টনের ঘটনাই তার প্রমাণ’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy