ইজ়রায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে মাজিদ মোসায়েবি নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল ইরান। রবিবার আমেরিকার আক্রমণের পরেই খবরটি নিশ্চিত করেছে সে দেশের আইনব্যবস্থা। অভিযোগ, ইরানে থেকে গোপন ও সংবেদনশীল তথ্য ইজ়রায়েলের কাছে পাচার করতেন মাজিদ।
রবিবার সকালে ইরানের বিচারবিভাগের ওয়েবসাইট ‘মিজ়ান’-এ জানানো হয়েছে, সে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে মাজিদের ফাঁসি হয়েছে। আচমকা নয়, বরং সম্পূর্ণ আইনি প্রক্রিয়া মেনেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে মাজিদের। ইরানের বিচার বিভাগ জানিয়েছে, তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে যে মাজিদ ইজ়রায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে কাজ করতেন। দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ইজ়রায়েলের কাছে পাচার করতেন তিনি। মাজিদের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি ছাড়াও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ ওঠে। শেষমেশ সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট মাজিদের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়। রবিবারই তাঁর ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।
এর আগেও ইরানে গুপ্তচরবৃত্তি এবং নানা গোপন অভিযানে জড়িত থাকার ঘটনায় নাম জড়িয়েছে মোসাদের। শুধু তা-ই নয়, গত ১৩ জুন ইরানের পরমাণুকেন্দ্রগুলিতে ইজ়রায়েলের হামলা, বিজ্ঞানীদের হত্যা, সাইবার হামলা— এই সব কিছুর নেপথ্যেও মোসাদের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছিল তেহরান। এর পরেই ইজ়রায়েলও দাবি করে, ইরানের ভিতরে প্রবেশ করে হামলা চালিয়েছে তারা। কী ভাবে গোপনে ইরানে প্রবেশ করে আঘাত হেনেছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাহিনী, তার কিছু ভিডিয়ো ফুটেজও প্রকাশ্যে আনে মোসাদ। সেই আবহে মোসাদের গুপ্তচরের মৃত্যুদণ্ডকে ইরানের তরফ থেকে ইজ়রায়েল ও আমেরিকাকে দেওয়া কৌশলগত বার্তা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ইজ়রায়েল বা মোসাদের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।