প্রতীকী ছবি।
পুরনো ব্যবহার করা জিনিস বেচাকেনার দোকান। বাইরে লেখা, ১৮ বছরের নীচে প্রবেশ নিষেধ। মাথায় বেসবল ক্যাপ ও গায়ে কার্গো শার্ট পরা একটি লোক সটান ঢুকে পড়েন দোকানে। হাতে একটি শিশু। টেবিলের উপরে বাচ্চাশুদ্ধু কটটিকে রেখে দিয়ে বলেন, ‘‘আমার কাছে এটা রয়েছে। মাত্র সাড়ে সাত মাস ব্যবহার করা হয়েছে। কত দাম দেবেন?’’
ফ্লরিডার সেরাসোটার ঘটনা। চোখের পলক পড়ছিল না দোকানের কাউন্টারে দাঁড়ানো রিচার্ড জর্ডনের। বলে কী! তড়িঘড়ি পুলিশে খবর দেন তিনি। তবে লোকটি তত ক্ষণে বেরিয়ে গিয়েছেন। পুলিশকে জর্ডন জানান, লোকটিকে তাঁর সন্দেহজনক মনে হয়েছে। বাচ্চাটিকে নিয়ে ভয় হচ্ছে।
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে পুলিশ খোঁজ শুরু করে অভিযুক্তের। টিভি চ্যানেলগুলোতে দেখানো হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ছবি দেখে অভিযুক্ত রিচার্ড স্লোকাম নিজেই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পুলিশের একটি দল তাঁর বাড়িতে চলে আসে। আটক করে তাঁকে। জেরার মুখে ৪৩ বছর বয়সি স্লোকাম জানিয়েছেন, তিনি ওই শিশুটির বাবা। দোকানের বাইরে ‘১৮ বছরের নীচে প্রবেশ নিষেধ’ লেখাটি পড়ে মজা করতে ইচ্ছে হয়েছিল। তাই নিজের সাড়ে সাত মাসের সন্তানকে নিয়ে দোকানে ঢোকেন। ভেবেছিলেন, মজা করে ভিডিয়ো বানাবেন। তার পর তা স্ন্যাপচ্যাটে দেবেন। স্লোকামের এমন ‘স্বীকারোক্তি’তে স্তম্ভিত পুলিশও।
পুলিশকে স্লোকাম আরও জানান, স্ন্যাপচ্যাটে অ্যাকাউন্ট খুলে মজা করার পরিকল্পনা ভাইপোর সঙ্গে করেছিলেন। সে কাকাকে খুব উৎসাহ দিয়েছিল। কিন্তু লোককে হাসাতে গিয়ে এখন গালমন্দ শুনতে হচ্ছে! স্থানীয় সব চ্যানেলে দেখানো হয়, তিনি কী করেছেন। সকলেই বলছেন, ‘এটা কী ধরনের রসিকতা!’ স্লোকামের মতে, তিনি মজার কাজ করেছিলেন। দোকানদার জর্ডনের কথায়, ‘‘এটা মোটেই মজার কিছু নয়। বেশ গম্ভীর মুখে উনি বলছিলেন, কত দাম দেবেন। ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বাচ্চাকে দেখাচ্ছিলেন।’’ জর্ডন জানান, ঘটনার আকস্মিকতায় কোনও জবাব দিতে পারেননি। ঘাড় ঘুরিয়ে শুধু ‘না’ দেখিয়েছিলেন। তখন বাচ্চাটিকে টেবিলের উপর থেমে নামিয়ে নিয়ে চলে যান স্লোকাম।
পুলিশ জানিয়েছে, এখনও তারা সন্দেহজনক কিছু পায়নি। তাই অপরাধমূলক কাজের চার্জ গঠন হচ্ছে না স্লোকামের বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy