ভারী বৃষ্টি এবং হড়পা বানের জেরে বিধ্বস্ত পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বেশ কিছু অঞ্চল। বৃহস্পতিবার রাত থেকে এখনও পর্যন্ত অন্তত ৩২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এর মধ্যে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৬ জনের। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট-বালটিস্তান এবং মুজ়ফ্ফরাবাদেও ১৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, গিলগিট-বালটিস্তানের ঘিজার জেলায় হড়পা বানে আট জনের মৃত্যু হয়েছে। দু’জনের কোনও খোঁজ মিলছে না। হড়পা বানের জেরে বেশ কিছু ঘরবাড়ি, গাড়ি, স্কুল এবং হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্ধ হয়ে গিয়েছে কারাকোরাম হাইওয়ে, বালটিস্তান হাইওয়ে-সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজ়ফ্ফরাবাদের এক গ্রামে ভূমিধস নেমেছে। ওই ঘটনায় একই পরিবারের ছ’জন ধসে চাপা পড়ে মারা গিয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মুজ়ফ্ফরাবাদে আরও দু’টি পৃথক ঘটনায় দু’জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
বৃহস্পতিবার রাতে মুষলধারে বৃষ্টির জেরে খাইবার পাখতুনখোয়ায় লোয়ার দির, বাজাউর এবং আবোটাবাদ-সহ একাধিক জেলায় হড়পা বান এবং ভূমিধস নেমেছে। তাতে অন্তত ১৬ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। খোঁজ মিলছে না আরও অনেকের। লোয়ার দিরে একটি বাড়ির ছাদ ভেঙে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাজাউর এলাকা থেকে এখনও পর্যন্ত ৯ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে।
নিয়ন্ত্রণরেখার এ পারে ভারতীয় ভূখণ্ডেও বৃহস্পতিবার হড়পা বান নেমেছে জম্মু ও কাশ্মীরের কিশ্তওয়াড়ের চিশোতা গ্রামে। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬০ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। আহত হয়েছেন ১০০ জনেরও বেশি। তাঁদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। স্থানীয় সূত্রে খবর, অনেক পুণ্যার্থী নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। সেনা, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) এবং স্থানীয় প্রশাসন জোরকদমে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। ১৬০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।