Advertisement
E-Paper

জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ফিলিপিন্স! তাসের ঘরের মতো ভাঙল ঘরবাড়ি, নিহত অন্তত ৬৯

উপকূলীয় শহর বোগোয় প্রায় ৯০ হাজার মানুষের বাস। মঙ্গলবার রাতে যে ভূমিকম্পটি হয়েছে, তার উৎসস্থল ছিল বোগো থেকে প্রায় ১৯ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে। ভূমিকম্পের পর পরই সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:১২
ভূমিকম্পের পরে বুধবার সকালে ফিলিপিন্সের বোগো শহর।

ভূমিকম্পের পরে বুধবার সকালে ফিলিপিন্সের বোগো শহর। ছবি: রয়টার্স।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ফিলিপিন্সে জোরালো ভূমিকম্পে মৃত্যু হল অন্তত ৬৯ জনের। মঙ্গলবার রাতে ভূমকম্পে কেঁপে ওঠে মধ্য ফিলিপিন্সের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৯। ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেবু প্রদেশের বোগো এবং পার্শ্ববর্তী ছোট শহরগুলি। শুধুমাত্র বোগো শহরেই অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ধসে পড়েছে একের পর এক বা়ড়ি, নাইটক্লাব এবং অন্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। ওই ধ্বংসস্তূপের নীচেও অনেকে চাপা পড়ে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বুধবার সকালেও ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে জীবিতদের খুঁজে বার করার চেষ্টা চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দল। পুলিশের পাশাপাশি উদ্ধার অভিযানে নেমেছে সেনা এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও। উদ্ধারকাজের জন্য স্নিফার ডগের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। সংবাদ সংস্থা এপি স্থানীয় প্রশাসনকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কিছু রাস্তা এবং সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উদ্ধার অভিযানে সমস্যা হচ্ছে। পাশাপাশি ঘন ঘন বৃষ্টির কারণে জীবিতদের খুঁজে বের করার কাজকে আরও কঠিন করে তুলছে।

সমুদ্র উপকূলীয় শহর বোগোয় প্রায় ৯০ হাজার মানুষের বাস। মঙ্গলবার রাতে যে ভূমিকম্পটি হয়েছে, তার উৎসস্থল ছিল বোগো থেকে প্রায় ১৯ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটি হয়েছে। এর জেরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেবু প্রদেশের অন্যতম বড় এই শহরটি।

ফিলিপি‌ন্সের অসামরিক সুরক্ষা দফতরের উপপ্রশাসক বার্নার্ডো রাফায়েলিতো আলেজ়ান্দ্রো বুধবার সকালে বলেন, “আমরা এখনও উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছি। এখনও অনেক লোক ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে আছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।” বোগো শহরের দুর্যোগ মোকাবিলা দফতরের আধিকারিক রেক্স ইগট জানান, পাহাড়ি গ্রামগুলিতে ধস নেমে এবং বোল্ডার পড়ে বেশ কিছু ঝুপড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানেও উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। মেডেলিন এবং স্যান রেমিগিও শহরের বাইরেও বেশ কয়েক জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।

স্থানীয় প্রশাসনের অনেকের বক্তব্য, রাতে যে সময়ে ভূমিকম্প হয়েছিল, তখন অনেকেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। ফলে তাঁদের অনেকেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে পালানোর সুযোগ পাননি। সংবাদ সংস্থা এপি জানাচ্ছে, এটি ছিল গত এক দশকে মধ্য ফিলিপিন্সে সবচেয়ে জোরালো ভূমিকম্পগুলির মধ্যে অন্যতম। ভূমিকম্পের পর পরই ফিলিপিন্সের ভূকম্পন জরিপ সংস্থা সুনামির সতর্কতা জারি করেছিল। প্রায় এক মিটার পর্যন্ত উঁচু ঢেউ আছড়ে প়ড়তে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছিল। তবে এমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি না হওয়ায় ভূমিকম্পের প্রায় তিন ঘণ্টা পরে সুনামি সতর্কতা তুলে নেওয়া হয়।

Philippines Earthquake
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy