ছবি: এএফপি।
টেক্সাসে বন্দুকবাজের হামলার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের গুলি আমেরিকায়। এ বার ওহায়োর ডেটন শহরের ওরেগন ডিস্ট্রিক্টে। শনিবার শেষরাতের ওই ঘটনায় হামলাকারী-সহ ১০ নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন হামলাকারীর বোন ও তাঁর প্রেমিকও। জখম এখনও পর্যন্ত ২৬ জন।
ডেটন শহরের ঐতিহ্যবাহী ওরেগন ডিস্ট্রিক্ট এলাকাটি এমনিতে জমজমাট। সপ্তাহান্তের রাতে এ দিন পানশালা, রেস্তরাঁগুলি ভিড়ে গমগম করছিল। অন্য দিনের মতো নাচগানে জমে উঠেছিল স্থানীয় নেড পেপার্স বার। বাইরে তখন ইতিউতি জটলায় আড্ডা দিচ্ছিলেন অনেকে। এমন সময় গুলির আওয়াজ। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানালেন, স্থানীয় সময় তখন রাত ১টা ২২ মিনিট। নেড পেপার্স বারের বাইরে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করল এক বন্দুকবাজ। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন অনেকে। ভয়ে, আতঙ্কে দিশাহারা হয়ে বাকিরা তখন ছুটে পালানোর চেষ্টা করছেন। খানিকটা দূরে গাড়ির মধ্যে লুকিয়ে থেকে তিনি গুলির শব্দ রেকর্ড করেছেন বলে দাবি ওই প্রত্যক্ষদর্শীর। তবে কাছেই টহল দিচ্ছিল পুলিশ। হামলার এক মিনিটের মধ্যেই তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। পুলিশের পাল্টা গুলিতে নিহত হয় বন্দুকবাজও। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ডেটনের মেয়র ন্যান হোয়েলি পুলিশি তৎপরতার প্রশংসা করে বলেছেন, ‘‘এক মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে হামলাকারীকে কাবু করে ফেলেছে পুলিশ। তা না হলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ত।’’
পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী কোনর বেটস নামে এক শ্বেতাঙ্গ যুবক। বয়স ২৪। মন্টেগোমারি কাউন্টি থেকে এসেছিল সে। তার বোন যে পানশালায় রয়েছে, সেখানেই সে কেন হামলা চালাল তা এখনও স্পষ্ট নয়। হামলাকারীর গায়ে বর্ম-জাতীয় কিছু লাগানো ছিল। সঙ্গে ছিল প্রচুর গুলি ভর্তি ম্যাগাজিন।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে পর পর গুলি হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে আমেরিকায়। তদন্ত শুরু হয়েছে। আপাতত ওরেগন ডিস্ট্রিক্ট এলাকা এড়িয়ে চলতে বলেছে পুলিশ। আক্রান্তদের সাহায্যের জন্য ডেটনে একটি সহায়তা কেন্দ্র খুলেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy