গানসু প্রদেশের কাংদিয়াও গ্রামে চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: রয়টার্স।
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল উত্তর-পশ্চিম চিনের গানসু এবং কিংহাই প্রদেশ। চিনের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.২। এর ফলে অনেক বড়ি তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে। দুই প্রদেশ মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১১১। আহত বহু। ধ্বংসস্তূপের নীচে যাঁরা আটকে পড়েছেন, তাঁদের উদ্ধারে কাজ শুরু করে দিয়েছেন উদ্ধারকারীরা।
কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৯। স্থানীয় সময় সোমবার রাত ১২টা নাগাদ কেঁপে ওঠে গানসু এবং কিংহাই প্রদেশ। ভূকম্পের কেন্দ্রস্থল গানসু প্রদেশের রাজধানী লানঝৌ থেকে ১০০ কিমি দূরে মাটি থেকে মাত্র ১০ কিমি গভীরে। যদিও চিনের সরকারি চ্যানেল তাদের প্রতিবেদনে দাবি করেছেন, কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.২।
আরও এক টেলিভিশন চ্যানেল সিসিটিভি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুধু গানসু প্রদেশেরই এখনও পর্যন্ত ১০০ জন মারা গিয়েছেন, আহত বহু। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। অন্য দিকে, কিংহাই প্রদেশে এখনও পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত শতাধিক। দুই প্রদেশেই চলছে উদ্ধারকাজ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বহু এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ওই দুই প্রদেশের আধিকারিকদের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। উদ্ধারকাজে কোনও ত্রুটি না রাখা এবং আহতদের সেবা শুশ্রূষায় নিজেদের সেরাটা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিছু ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, ভূমিকম্পের ফলে আতঙ্কিত হয়ে লোক জন রাস্তায় দৌড়চ্ছেন এবং নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজ করছেন। ধ্বংসস্তূপের ছবিও দেখা গিয়েছে বেশ কিছু ভিডিয়োয়। যদিও এই সব ভিডিয়োার সত্যতা যাচই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
চিনে ভূমিকম্প অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। গত অগস্টে একটি ৫.৪ মাত্রার ভূমিকম্প পূর্ব চিনে আঘাত হানে। এই ঘটনায় ২৩ জন আহত হন এবং বেশ কিছু বহুতল ধসে পড়ে। ২০২২ সালে সিচুয়ান প্রদেশে ৬.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় ১০০ জনের মৃত্যু হয়। ২০০৮ সালে সিচুয়ান প্রদেশে ৭.৯ মাত্রার ভূমিকম্পৌ প্রায় ৯০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে পাঁচ হাজারেরও বেশি ছিল শিশু। আহতের সংখ্যা ছিল প্রায় চার লক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy