রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের একের পর এক গ্রাম এবং জমিজমা ধ্বংস করে দিয়ে সেখানে সেনাচৌকি বানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে মায়ানমার সেনা। সোমবার রাষ্ট্রপুঞ্জ সমর্থিত সংস্থার একটি রিপোর্টে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
ইনডিপেনডেন্ট ইনভেস্টিগেটিভ মেকানিজ়ম (আইআইএমএম)-এর ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, মায়ানমার সরকার খুব পরিকল্পিত ভাবে রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলি ধ্বংস করেছে। তাঁদের জমিজমা, সম্পত্তি নষ্ট করেছে। যদিও মায়ানমার সেনার তরফে এই রিপোর্ট প্রসঙ্গে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। আইআইএমএম-এর রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, সেনাঘাঁটি এবং সেনাশিবির বানানো হচ্ছে উত্তর রাখাইন প্রদেশে ইন দিনের গ্রামগুলিতে। নতুন করে রাস্তা, সেনার দফতর, হেলিপ্যাড বানানো হচ্ছে।
রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক রয়েছে নিউ ইয়র্কে। সেখানে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। তার আগেই এই রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ায় পরিস্থিতি পর্যালোচনার গতিমুখ কোন দিকে মোড় নেবে, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, মায়ানমারে গৃহযুদ্ধের কারণে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশন (ওএইচসিএইচআর) এবং কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্পে বর্তমানে নথিভুক্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা সাড়ে ১২ লক্ষ। এর মধ্যে আট লক্ষই এসেছিলেন ২০১৭ সালের ২৫ অগস্ট শুরু হওয়া জুন্টাসেনার হামলার পরের কয়েক মাসে।